লাগিলেন; কিন্তু কাহারও দ্বারা যে কোনরূপ সুফল ফলিবে, তাহা বোধ হইল না। যিনি দর্প করিয়া এই অনুসন্ধানে যোগ দিলেন, ভগবান্ তাঁহার দর্প চূর্ণ করিলেন। যাহার মনে মনে অভিমান ছিল যে, তাহার মত সুনিপুণ অনুসন্ধানকারী আর কেহই নাই; এই চুরিতে তাহার সেই অভিমান দূরে পলায়ন করিল। স্থূল কথায়, কাহারই দ্বারা এই সকল চুরির অনুসন্ধানের ফল ফলিল না, অপহৃত দ্রব্যগুলির কোন সন্ধানই পাওয়া গেল না। সাহেবদিগের খানসামা-বাবুর্চিদিগকে বিশেষরূপে জিজ্ঞাসা করায় কেহ কহিল, ‘রাত্রিতে আমাদের কুঠিতে একজন মুসলমান-বেশী লোককে দেখিয়াছিলাম।’ কেহ বলিল, ‘আমি চোরকে পলাইতে দেখিয়াছি, সে ইহুদি।’ কেহ বলিল, ‘চোর আমার হস্ত ছাড়াইয়া পলাইয়া গিয়াছে—সে ফিরিঙ্গি।’ এইরূপ নানাকথা শুনা যাইতে লাগিল; সুতরাং চোর কে, বা কোন্ জাতীয় লোক, তাহা কিছুই স্থির হইল না। এইরূপে চারি পাঁচদিবসের মধ্যে উক্ত স্থানটী একরূপ অরাজক হইয়া উঠিল। পুলিসের যিনি মস্তক, তাঁহারও মস্তক ঘূরিয়া গেল—হস্তপদের ত কথাই নাই! কি প্রকার বন্দোবস্ত করিলে, এই চুরি বন্ধ হয়, এবং চোর ধরা পড়ে, তাহার নানাপ্রকার যুক্তি ও পরামর্শ হইতে লাগিল। পরিশেষে সাব্যস্ত হইল যে, যে স্থানে চুরি হইতেছে, সেইস্থানে রীতিমত পুলিশ পাহারার বন্দোবস্ত করা হইবে।
পরামর্শ-অনুযায়ী সেইস্থানে পাহারা পড়িল। পাহারার নিমিত্ত সেইস্থানে এত পরিমাণে পুলিসের আমদানী হইল