অনুসন্ধান কর, দেখ সে কি বলে।” আমার কথা শুনিয়া হাবিৎ সাহেব আমার সহিত সিউচরণের গ্রামে গমন করিতে চাহিলেন। হাবিতের কথা শুনিয়া আমার একটু রাগ হইল। ভাবিলাম, কোথাকার এক হাবাতে সাহেবের সহিত পড়িয়াছি; সে না বুঝে কথা, না বুঝে কার্য্য। তখন আমি তাহাকে কহিলাম, “সাহেব! তুমি অমন কর্ম্ম করিও না। এ নিতান্ত পল্লীগ্রাম, এই স্থানের অনেক লোক আজও পর্য্যন্ত সাহেব দেখিয়াছে কি না সন্দেহ; এরূপ অবস্থায় তুমি আমার সহিত গমন করিলে, কোন কার্য্যই হইবে না। তোমরা এইস্থানে অপেক্ষা কর, আমি গমন করিয়া সিউচরণের অনুসন্ধান করি। যদি তাহাকে পাই, তাহা হইলে তাহাকে সঙ্গে করিয়া আনিব।” ডালসুরি আমার কথা বুঝিল, এবং হাবিৎকে সে বুঝাইল। আমি সিউচরণের অনুসন্ধান করিবার নিমিত্ত দুই মাইল পথ হাঁটিয়া, সেই গ্রামে গিয়া উপনীত হইলাম। সিউচরণ তাহার বাড়ীতেই ছিল, সে আমার সহিত আসিতে প্রথমে অস্বীকার করিল; পরিশেষে তাহাকে অনেক প্রকার বুঝাইয়া, দিবা আড়াইটার সময় সাহেবদিগের নিকট উহাকে আনয়ন করিলাম। সিউচরণ যাহা বলিল, তাহা শুনিয়া আমরা সকলেই সাহেবের সেই ভাড়াটিয়া গাড়িতে চক্দীঘি-অভিমুখে যাত্রা করিলাম। বলা বাহুল্য, সিউচরণ আমাদের সঙ্গেই চলিল।
পাতা:ইংরেজ ডাকাত - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৬
অবয়ব
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
ইংরেজ ডাকাত।
৩৫