পাতা:ইংরেজ ডাকাত - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪২
দারোগার দপ্তর, ৩৩ম সংখ্যা।

ভাবি না। আমাদিগের প্রধান পাদবি ও কোন খৃষ্টানের নিকট বোধ হয়, এরূপ সম্মান প্রাপ্ত হয়েন না।”

 আমি বিশেষরূপ যত্ন প্রাপ্ত হইলাম বলিয়াই যে হরনাথ বাবু সাহেবদ্বয়ের অযত্ন করিলেন, তাহা নহে। তিনি তাঁহার বাহিরের ঘর সাহেবদিগের জন্য ছাড়িয়া দিলেন, এবং সমস্তদিবস উহাদিগের আহার হয় নাই শুনিয়া, প্রথমেই দুগ্ধ ও কদলী আনাইলেন। সাহেবদ্বয় ইচ্ছামত দুধ ও কলা খাইয়া কতক সুস্থ হইলেন; আমিও উদয় পুরিয়া জলযোগ করিলাম।

 আমরা সকলে সুস্থ হইয়া উপবেশন করিলে পর, হরনাথ বাবু কহিলেন, “গত কল্য (অর্থাৎ ৭ই মার্চ) সন্ধ্যার সময় আমরা দামোদর-তীরে সান্ধ্য-সমীরণ সেবন করিতেছিলাম। সেই সময় দেখিতে পাইলাম, শ্রীকৃষ্ণপুরের নিকট দামোদরতীরে বালুকার উপর দুইজন ইংরাজ বসিয়া রহিয়াছেন। যে স্থানে ইংরাজের কখনও পদার্পণ হয় না, সেইস্থানে দুই দুইজন ইংরাজকে দেখিয়া আমাদের অতিশয় কৌতুহল উপস্থিত হইল। এক পা দুই পা করিয়া, আমরা ক্রমে সাহেবদিগের নিকট গমন করিলাম। তাঁহাদিগকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলাম যে, উঁহারা সরকারী কর্ম্মচারী। দামোদর নদীর কোন্ কোন্‌স্থানে বাঁধ বাঁধিবার প্রয়োজন, তাহাই দেখিবার নিমিত্ত তাঁহারা এ প্রদেশে আগমন করিয়াছেন, এবং থাকিবার উপযুক্তরূপ স্থান প্রাপ্ত না হওয়ায়, সেইস্থানেই অবস্থিতি করিতেছেন। আসিবার সময় আপনারা বোধ হয়, দেখিয়া থাকিবেন, দামোদর নদীর ধারে ধারে বাঁধ বাঁধা আছে। সরকার বাহাদুর কর্ত্তৃক উক্ত বাঁধ বাঁধা হইয়াছে, এবং