পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ቖ መ ከም ইংলেণ্ডের ডায়েরি আমেরিকান একজন লোক বড় সাধা করিয়া দেশ দেখিতে বাহির হইয়াছিলেন, তিনি দেশের লোকের অবস্থা দেখিয়া বিরক্ত হইয়া ফিরিয়া যাইতেছেন। এই সকল শুনিয়া বোধ হইল যে, এদেশের লোক বোধ হয়। অত্যন্ত দরিদ্র। রোম্যান ক্যাথলিক ধর্মের প্রবলতা নিবন্ধন, জাতীয় মনের বিশেষ দুৰ্গতি হইয়াছেইহাও অসম্ভব নহে। ইউরোপে দেখিতেছি, যে-যে দেশে প্রটেস্ট্যান্টিজন্ম প্রবল, সেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ভাব প্রবল। সুতরাং সেই সকল দেশের জাতীয় মনে মনুষ্যত্ব ও তেজস্বিতা প্রবল-ব্যথা, জার্মানি, ইংলণ্ড ও আমেরিকার ইউনাইটেড স্টেটস। নেপলসে আসিয়া মিস্টার হাণ্টের এক চিঠি পাইলাম ও মিস মারের এক চিঠি এবং মিঃ মাল-এর প্রেরিত এক তাড়া খবরের কাগজ পাইলাম। ইংরাজ বন্ধুদের সম্ভাবে আমার মন মুগ্ধ হইয়াছে। বিশেষতঃ মিস্টার হাণ্ট তাহার পত্রের মধ্যে র্তাহার তৃতীয়া কন্যা “লেখী’র এক ছবি পাঠাইয়াছেন। আমি মেয়েটাকে বড় ভালবাসি। তাহার ছবি হাতে লইয়া মনে হইল - আহা, যদি কথা কহিত, কি আনন্দই হইত ! যাত্রার প্রাক্কালে আমি যে কয়েকখানি চিঠি লিখিয়া আসি, তাহার মধ্যে কাথুরানীকে ‘স্ট্রটে” যে পত্র দিয়াছিলাম, তাহাতে আমি তঁহাকে কিভাবে দেখি-তাহা লিখিয়াছিলাম। নেপ্লসে আসিয়া তাহার উত্তর পাইলাম। কাথুরানী এমনি সৎ মেয়ে যে, আমাকে লিখিয়াছেন, “তুমি কোন কল্পিত ক্যাথারিনকে দেখিয়া মুগ্ধ হইয়াছ, প্রকৃত ক্যাথারিন এত ভাল নয় ; এত ভালবাসার উপযুক্ত নয়”। আমি লিখিয়াছি, “তুমি আমাকে নূতন কথা বলিলে না ; আমি তোমাকে জানিবার পূর্বে আপনাকে জানি এবং ইহাও জানি যে, আমি যাহাকে “আমি” বলি, তাহার অনেক দোষ ; তথাপি তাহাকে গ্রীতি করি। তখন এমন এক ভগিনীর আত্মাকে শত ক্রটি সত্ত্বেও কেন ভালবাসিব না, যার অন্তরে সাধু কামনা এত প্রবল ?” কাণ্ডুৱানী রূপলাবণ্য বা শক্তিসামর্থ্যে অগ্রগণ্য নারীদের মধ্যে নহে; সামান্য অবস্থার একজন সামান্ত স্ত্রীলোক । কিন্তু সকলের অপেক্ষা এই রমণী আমার গ্রীতিকে আকর্ষণ করিয়াছে। ইহার