পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ ) তাহা হইলে প্রথমে ধাতুকে স্বাভাবিক অবস্থায় অনিবার ঔষধ যাহা পূর্ব্বে লিখিত হইয়াছে, তাহার দ্বারা ধাতুকে স্বাভা বিক অবস্থায় আনিয়া বধুর প্রক্রিয়া দ্বারা ১ ঘর্ম্ম আনাইলে উপকার হয় । ঘর্ম্ম অনাইবার ঔষধ —মেরি ও মোরির শিকড়ের ছাল, এই দুইটী জিনিস অগ্নিতে দিলে ধুম হইবে তখন এক খণ্ড বস্ত্র দ্বারা রোগীর দেহ ও ঔষধের পাত্র আবৃত করিয়া সেই ধূম তাহার গাত্রে লাগাইবে (ভাবরা দিবে), তাহা হইলে ঘাম হইবে । অবজান—ক্ষতা ও ক্ষয়কাশযুক্ত রনাশক । ঔষধ—লাউ, শসা, নুনে শাক, কাহু শাক, তরমুজ, শালুক ফুল, বানাফসার ফুল, ছাল ফেলা যাব এই সকল দ্রব্য কিম্বা ইহার মধ্যে যাহা পাওয়া যায়, তাহা জলে সিদ্ধ করিয়া এমন একটা বৃহৎ পাত্রে ঢালিয়া দেওয়া আবশ্যক, যাহাতে বসিলে রোগীর গলদেশ পর্য্যন্ত জলে ডুবিয়া যায় । সেই জলের মধ্যে রোগীকে এক ঘণ্টা কাম রাখিয়া তাহা হইতে উঠাইয়া তাহার-গাত্রে বানাফসার তৈল কিম্বা লাউর তৈল অথবা দুইটি তৈল একত্র করিয়া’ মদন কৱিবে । যে রোগে আবজান অবশ্যক, সেই রোগের বর্ণনা-কালে অবজানের বিষয় বিশদ ব্লপে বর্ণিত হইবে । পাশোয়া-মস্তিরে উষ্ণতাকে নিয়ে আনয়ন করে—- ইহায় প্রণালী পূর্ব্বে বর্ণিত হইয়াছে। ঔষধ—গমের ভূষি, খাতনীর ফুল, বানাফসার ফুল, বাবুনার ফুল, শ্বেত বেদ এর পাতা, কুলের পাতা, লাউ, শসা । এই সমস্ত দ্রব্য কিম্বা