পাতা:ইউনানী হাকিমি চিকিৎসা প্রণালী - আবদুল লতিফ.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( 8१ ) দ্বারা শিরা-সঞ্চালিত বিকৃত ধাতু সমূহের ক্লেদ পাকস্থলিতে নীত হইবার পর বহির্গত না করিয়া দিলে সঞ্চিত হইয়া পুনরায় রোগোৎপত্তির কারণ হইয়া উঠে। ; মনজেজ না করিলে যে ধাতু প্রকৃতিস্থ হই ধনা, এমন কোন কথা নাই ; কারণ ঈশ্বর আমাদিগকে এরূপ একটীি শক্তি প্রদান করিয়াছেন যাহা স্বভাবতঃই রোগ দূর করিতে চেষ্টা করে, এবং অনেক সময় কৃতকার্য্যও হইয়া থাকে। এরূপ দেখা গিয়াছে যে কোন কোন স্থলে বিনা ঔষধ্যে আপনা। হইতেই রোগ আরোগ্য হইয়া থাকে। সুচিকিৎসক মাত্রেরই কর্ত্তব্য যে এই রোগ দূরীকরণ-শক্তিকে ঔষধ দ্বারা সাহায্য ও উহার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা । যদি বিকৃত-ধাতু রোগীকে রোগের প্রথম দিনে পাওয়া যায়,তাহা হইলে চতুর্থ অধ্যায়ে যে যে ধাতু বিকৃতির জন্য যে কয় দিন মনজোজ করিতে লেখা হইয়াছে সেই কয় দিন মনজেজ করিবে । কিন্তু তাহা না হইলে নির্দিষ্ট সময়ের বাকি কয় দিবস মনজোজ করাইবে । নিদিষ্ট সময় উত্তীর্ণ হইবার/পর যদি রোগী পাওয়া যায়, তাহা হইলে চিকিৎসক মনজেজ না করাইয়া বিবেচনানুসারে একেবারে রোগের ঔষধ ব্যবস্থা করিবেন। জোলাপের ঔষধ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত-( ১ ) মোস্হেল, (২) মোলায়েন। যে ঔষধ শরীরস্থ শিরা সমূহ ও অন্যান্য যন্ত্র হইতে বিকৃত ধাতু আকর্ষণ করিয়া নির্গত করিয়া দেয় তাহাকে আরবী ভাষায় মোস্হেল বলে। ..} যে ঔষধ দ্বারা পাকস্থলি ও অন্ত্র মধ্যস্থ বিকৃত ধাতু ও মল