আম-কাঁটালও প্রচুর।
ফণি চক্কত্তি ঘন আওটানো দুধের সঙ্গে মুড়কি আর আম-কাঁটালের রস মাখতে মাখতে বললেন—চন্দদা, সেই আর এই! ভাবি নি যে আবার ফিরে আসবো। কুমুদিনী জেলের দলের সেই সাতকড়ি আমাদের আগেই বলেছিল, বর্ধমান পার হবেন তত ডাকাতির দল পেছনে লাগবে। ঠিক হেলো কি তাই!
আমার কেবল মনে হচ্ছে সেই পাহাড়ের তলা-ঝর্ণা বয়ে যাচ্ছে, বড় বড় কি গাছের ছায়া। রূপচাঁদ কাকা যেখানে দেহ রাখলেন। অমনি জায়গা বুড়ো ভালোবাসতো। আমাকে কেবল বলে —এ যেন সেই বাল্মীকি মুনির আশ্রম-
নালু পাল হাত জোড় করে বললে-আমার বড্ড ভাগি, আপনারা সেবা করলেন গরীবের দুটো ক্ষুদা আশীর্ব্বাদ করবেন, ছেলে হয়েছে যেন বেঁচে থাকে, বংশডা বজায় থাকে।
ভবানী বাঁড়ুয্যে ফিরে এলে বিলু বললে—আপনার সোহগের ইস্ত্রী কোথায়? এখনো ফিরলেন না যে? খোকা কেঁদে কেঁদে এইমাত্তর ঘুমিয়ে পড়লো।
—তার এখনো খাওয়া হয়নি। এই তো সবে ব্রাহ্মণভোজন শেষ হেলো-
নিলু শুয়ে ছিল বোধ হয় ঘরের মধ্যে, অপরাহ্ন বেলা, স্বামীর গলার সুর শুনে ধড়মড় করে ঘুমের থেকে উঠে ছুটে বাইরে এসে বললো-এসো এসো নাগর, কতক্ষণ দেখি নি যে! বলি কি দিয়ে ফলার করলে?
ভবানী মুখ গম্ভীর করে বললেন-বয়েসে যত বুড়ো হচ্ছে, ততই অশ্লীল বাক্যগুলো যেন মুখের আগায় খই ফুটচে। কই, তোমার দিদি তো কখনো~
বিলু বললে-না না, দিদির যে সাত খুন মাপ! দিদি কখনো খাবাপ কিছু করতে পারে? দিদি যে স্বগগের অপ্সরী। বলি সে আমাদের দেখার
১৩০