—তুমি করলে গাৰ্গীর মত, সতীন-কাঁটা যখন ভূমা ছাইবে, তখন বুঝি আর না বুঝি, আমাকে সেই ভূমাই নিতে হবে-এই ছিল গাৰ্গীর মনে আসল কথা— তোমারও হোলো সেই রকম।
এমন সময়ে খোকা এসে বললে -বাবা কি খাচ্ছে? আমি খাবো।—
—আয় খোকা-
ভবানী দুটি মুড়কি ওর মুখে তুলে দিলেন। খোকা বাটিব দিকে তাকিয়ে বললে - নারকেল!
— না। পেট কামড়াবে।
—পেট কামড়াবে?
—হ্যাঁ, বাবা।
—ও বাবা-বাবা-পেট কামড়াবে?
— হ্যাঁ রে বাবা।
—বাবা-
—কি?
—পেট কামড়াবে?
নিলু ধমক দিয়ে বললে-থাম রে বাবা। যা একবাব ধরলেন তো তাই ধরলেন-
খোকা একবার চায় নিলুর দিকে, একবার চায় বাবার দিকে অবাক দৃষ্টিতে। বাবার দিকে চেয়ে বললে-কাকে বলচে বাবা?
নিলু বললে-“ওই ও পাড়ার নীলে বাগ্দিকে। কাকে বলা হচ্চে এখন বুঝিয়ে দাও-বলেই ছুটে গিয়ে খোকাকে কোলে তুলে নিলে। খোকা কিন্তু সেটা পছন্দ করলে না, সে বার বার বলতে লাগল-আমায় ছেড়ে দাও - আমি ৰাবার কাছে যাবো -
—যায় না।
—না, আমায় ছেড়ে দাও-আমি বাবার কাছে যাবো-
ভবানী বললেন-দাও, নামিয়ে দাও-এই নে, একখানা নারকোল-
২৭০