পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( १७ ) মূলার (Fritz Muller) শেষ রকমের অনুকৃতি সম্বন্ধে প্রথম ধরিয়াছিলেন বলিয়া শেষোক্ত রকমের অনুকৃতিকে মুলেরিয়ান (Mullerian) নাম দেওয়া হয় । জীবরাজ্যের আর একটি প্রণালী যাহা পোকাদের মধ্য হইতে বিশেষ রূপ উদাহরণ দিয়া দেখান যাইতে পারে তাহাকে চলিত কথায় "রক্ষাকারী Hiqej” ( Protective Resemblance ) qori istrz otta | Rets অনেকটা অনুকৃতির অনুরূপ। প্রাণীর সহিত তাহার পারিপার্থিক স্বাভাবিক অধিষ্ঠানের সাদৃশু এই প্রণালীর ধর্ম্ম । গাছের পাতা, ডাল, ফুল প্রভৃতির সহিত তৎসহবাসী প্রাণীর একনিষ্ঠ গঠন বা একভাবাপন্ন বর্ণ এই ধর্ম্মের ফল। দৃষ্টান্ত স্বরূপ বলা যাইতে পারে যে বরফের মধ্যে যে সব প্রাণীকে বাস করিতে হয় তাহারা বরফের ন্তার ধবধবে শাদ হয় । আবার যাহাদিগকে গাছের বাকলে থাকিতে হয় তাহাদের উপরের রং গাছের বাকলের রংয়ের স্তায় ‘চকরাপাকড়া’ । কীট-জীবনের “রূপান্তর ” ( Metamorphosis ) পাতঞ্জলির “জাত্যান্তর পরিণাম বাদ” । কোনও কোনও পোকা, জন্ম হইতে পূর্ণাবয়বে উপস্থিত হইয়া পূর্ণ যৌবনপ্রাপ্তি পর্য্যন্ত বিভিন্ন অবস্থার ভিতর দিয়া রূপান্তরিত হইয়া আসে । কোনও কোনও পোকাসমষ্টিতে { ষেমন প্রজাপতিদের (Butterfly) ভিতর } ফলস্ত ডিম হইতে যে প্রাণী প্রথম বাহির হইয়া আসে, সেই কীট-শিশু, যে প্রাণী ডিম পাড়িয়ছিল তাহাহইতে দেখিতে সম্পূর্ণ বিভিন্ন । প্রজাপতি শিশুর ( বা ভ্রণের ) এই প্রাথমিক অবস্থাকে ‘কাঁড়ার অবস্থা ( Caterpiller ) . বলা যায়। অতিরিক্ত ভোজন-লিপ্ত প্রজাপতি-শিশু-রূপ কীড়া, পুনঃ পুনঃ খোলস বদলাইয়া এবং ক্রমশঃ পরিবর্তিত হইয়া শেষে নড়ন-চড়ন রহিত নিশ্চল অবস্থায় উপস্থিত হয়। এই অবস্থাকে পুত্তলি, গুটি বা পুপা (Pupa or Chrysalis) বলা হয় । অল্প বেশী কতক সময় পরে পুত্তলির আবরণ ভেদ করিয়া ঠিক মাতা পিতার অনুরূপ এক পূর্ণাবয়ব পতঙ্গ বাহির হইয়া আসে । এইরূপ বিভিন্ন ভ্রণাবস্থার ভিতর দিয়া প্রাণীদের পরিবর্ত্তিত হইয়া আসিয়া পূর্ণতাপ্রাপ্তির প্রণালীর নাম “ রূপান্তর ”। কিন্তু , е