পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারপর আরম্ভ হয় আত্মীয়বন্ধুর অভিযান । তারা আসে, বসে, কথা বলে। চলে যায়--কেউ করে চায়ের নিমন্ত্রণ, কেউবা ভোজের । সারিত্রীর মতই জগদীশের সঙ্গে তার বিবাদের প্রসঙ্গ কেউ তোলে না। একটু সাবধানে সংযতভাবে কথা বলে সকলেই । অনুমান করা যায়, জগদীশ সকলকে শিখিয়ে পড়িয়ে সতর্ক করেই পাঠিয়েছে । এদের ভিড় করে আসা-যাওয়ার মধ্যে নতুন এক আশ্বাস খুজে পায় শুভ। তার বড় প্রয়োজন ছিল এ আশ্বাসের । জগদীশ পাঠিয়েছে বলেই কয়েকটা দিনের মধ্যে এমন ভিড় করে সকলে আসতে শুরু করে থাক, এরা তার আপনজন সন্দেহ নেই । এবং এদের কাছে তার স এটুকু মূল্য কেবল এই নয় যে সে জগদীশের ছেলে। গরীবের ঘরে জন্মেও সে যদি নিজেকে এতখানি গুণবান করতে পারত, গোড়ায় এতগুলি আপন-জন তার থাকত না বটে। কিন্তু এদেরই দু-একজন তাকে তুলে নিত নিজেদের স্তরে, এদের সঙ্গেই গড়ে উঠত অনেকটা এই ধরনেরই জগদীশ আর তার টাকা জীবন থেকে একেবারে ছাটাই করে দিলেও তার পড়বার ভয় নেই । নিজেদের প্রয়োজনেই শিক্ষিত সম্ভান্ত সমাজ তাকে নিজেদের স্তরে প্রতিষ্ঠিত করবে, তার মত প্রতিভাবান শিক্ষিত কর্মঠ মানুষকে বাদ দিলে এদের চলবে না । সে বিশেষভাবে শিক্ষিত বৈজ্ঞানিক । বিজ্ঞানকে ভাডা থাটিয়েই ধনোৎপাদন হয়। বৈজ্ঞানিকের মূল্য আছে। শুভর কোঠি যে তৈরি করেছিল তার নাম প্রণবেশ্বর-বিখ্যাত পণ্ডিত আর জ্যোতিষী । তাব ভক্ত ও গ্রাহকদের মধ্যে অনেক বড় বড় রাজা মহারাজা ও ধনী ব্যবসায়ী আছে। সত্তর বছর বয়সে আজও তার স্বাস্থ্য দেখলে সত্যই অবাক হয়ে যেতে হয়। মাথাব চুল এখনো পাকেনি। কোনদিন নাকি পাকবেও না ! কারণটা তার কালো-রং-করা চুলের দিকে চেয়ে খুব কম R O