পাতা:ইতিকথার পরের কথা.pdf/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--, তখনও বোঝা যায়নি। এমনি চোর এসেছে, কেউ হিংলো করে চালায় আগুন দেবার চেষ্টা করেছে। ডাক্তার মানুষের তো শত্তরের অভাব নেই। চিকিৎসা করে কাউকে বঁাচানো গেল না, দোষ হল ডাক্তারোয় । কেউ মিথ্যে সান্ট্রিফিকেট চেয়ে পায়নি, তার হল গায়ের জালা। মামলা দুটো শুরু করাতে বোঝা গেল গায়ের জালাটা করে। একদল ছেলে আর চাষীরা মিলে পাহারা দেবার জন্যে দল বেঁধেছে, সারারাত ডাক্তারের বাডি পাহারা দেয়। ওদিক দিয়ে সুবিধে হল না, মামলা জুড়ে হয়রান করে ! লক্ষ্মী হঠাৎ সুর পালটে বলে, কিছু মনে করছেন না তো ? যতই হোক বাবা তো আপনার । শুভ গম্ভীর হয়ে বলে, গাল দিলে নিশ্চয় রাগ করতাম । তা হলে আপনাকে বলেই রাখি । চারদিকে সবাই কিন্তু গাল দিচ্ছে, যাচ্ছেতাই বলে গালাগাল করছে। তা করুক। আমার সামনে আমাকে শুনিয়ে না করলেই হল। তবেই দেখুন সম্পর্ক তুলে দিলাম বললেই সম্পর্ক ঘুচে যায় না। শুভ মাথা নেড়ে বলে, আমার কথার অন্য মানে । সম্পর্ক আছে কি নেই সে আলাদা কথা, আমার সামনে কেউ যদি বাবাকে গাল দেয় সে আমাকেই অপমান করার জন্য দেবে । লক্ষ্মী ফস করে বলে বসে, তবে তো মুশকিল ! আজি না দিই, দু-দিন বাদে দেখা হলে হয়তো আপনার সামনেই গাল দিয়ে বসব ! শুভ আপিসোসের সুয়ে বলে, বাড়াবাড়ি সইছে না, না ? লক্ষ্মী বলে, এমনি নয় সয়ে গেলাম, আমায় বে-ইজত করার চেষ্টা হচ্ছে যে । শহর থেকে কতগুলি গুণ্ডা এনে ছেড়ে দিয়েছেন, ওরাই সব তছনছ করে। বেড়াচ্ছে। আমি তো একলাই এখানে ওখানে যাই, পরশু সন্ধ্যেবেলা পাকা রাস্তায় দুজন ধরবার চেষ্টা করেছিল। দুজন বলে বাগাতে পারেনি, দলে ভারী হলে কি রেহাই পেতাম ? তাহলে আপনার সামনেই গাল না দিয়ে কি থাকতে পারতাম আজ ? RNA ea