Ενίν ইন্দির তাই আমি শ্বশুর বাড়ী ধাইতেছিলাম। আমার শ্বশুর বাড়ী মনোহরপুর। আমার পিত্রালয় মহেশপুর ; উভয় গ্রামের মধ্যে দশ ক্রোশ পথ। স্বতরাং প্রাতে আহার করিয়া ধাত্রা করিয়াছিলাম, পৌছিতে পাচ সাত দণ্ড রাত্রি হইবে, জানিতাম । পথে কালানীঘি নামে এক বৃহৎ দীর্ঘিকা আছে। তাহার জল প্রায় অৰ্দ্ধক্রোশ। পাহাড় পর্ব্বতের ন্তায় উচ্চ । তাহার ভিতর দিয়া পথ। চারি পার্থে বট গাছ। তাহার ছায়া শীতল, জল নীলমেঘের মুত, দৃশু অতি মনোহর। তথায় ময়ূন্যের সমাগম বিরল। ঘাটের উপরে একখানি দোকান আছে মাত্র। নিকটে যে গ্রাম আছে, তাহারও নাম কালাদীঘি। এই দীঘিতে এক লোক জন আসিতে ভয় করিত। দস্ব্যতার ভয়ে এখানে দলবদ্ধ না হইয় লোক আসিত না। এই জন্য লোকে “ডাকাতে কালাদীধি” বলিত । দোকানদারকে লোকে দ্যুদিগের সহায়ু BBB S BBB BB BBB BB BBB BS BBB BB BBB BBSSSBBBB BBBS BB BB দ্বারবান, এবং অন্যান্য লোক ছিল। 4. ধখন আমরা এইখানে পদ্ধছিলাম, তখন বেলা আড়াই গ্রহর। বাহকের বলিল যে, “আমরা কিছু জ্বল টল না খাইলে আর যাইতে পারি না।” দ্বারবানেরা বারণ করিল—বলিল, “এ স্থান ভাল নয়।” বাহকের উত্তর করিল, “আমরা এত লোক আছি—আমাদিগের ভয় কি ?” আমার সঙ্গের লোক জন ততক্ষণ কেহই কিছুই খায় নাই। শেষে সকলেই বাহকদিগের মর্তে মত করিল। দীঘির ঘাটে—বটতলায় আমার পান্ধী নামাইল। আমি ক্ষণেক পরে, অমুভবে বুঝিলাম যে লোক জন তফাতে গিয়াছে। আমি তখন সাহস পাইয়া অল্প দ্বার খুলিয়া দীঘি দেখিতে লাগিলাম। দেখিলাম, বাহকের সকলে দোকানের সম্মুখে, এক বটবৃক্ষ তলে বসিয়া জলপান খাইতেছে। সে স্থান আমার নিকট হইতে প্রায় দেড় বিঘা। দেখিলাম যে, সম্মুখে অতি নিবিড় মেঘের ন্যায়, বিশাল দীধিক বিস্তৃত রহিয়াছে, চারি পার্থে পর্ব্বতশ্রেণীবৎ উচ্চ অথচ স্বকোমল শু্যামল তৃণাবরণ-শোভিত “পাহাড়" -- পাহাড় এবং জলের মধ্যে বিস্তৃত ভূমিতে দীর্ঘ বৃক্ষশ্রেণী ; পাহাড়ে অনেক গোবৎস চরিতেছে—জলের উপরে জলচর পক্ষিগণ ক্রীড়া করিতেছে—মৃদ্ধ পবনের মৃদুই তরঙ্গ হিরোলে স্ফটিক ভঙ্গ হইতেছে— ক্ষুদ্রোর্ম্মিপ্রতিঘাতে কদাচিৎ জলজ পুষ্পপত্র এবং শৈবাল দুলিতেছে। দেখিতে পাইলাম যে আমার দ্বারবানের জলে নামিয়া স্বান করিতেছে—তাহাদের অঙ্গচালনে তাড়িত হইয়া তামসলিলে শ্বেত মুক্তাহার বিক্ষিপ্ত হইতেছে । দেখিলাম যে বাহকের ভিন্ন আমার সঙ্গের লোক সকলেই এককালে স্বানে নামিয়াছে। সঙ্গে দুইজন স্ত্রীলোক—একজন শ্বশুর বাড়ীর, একজুন বাপের বাড়ীর, উভয়েই জলে। আমার মনে একটু ভয় হইল—কেহ নিকটে নাই—স্থান মন্দ, ভাল করে নাই। কি করি, আমি কুলবধু মুখ ফুটিয়া কাহাকে ডাকিতে পারিলাম না । এমত সময়ে পান্ধীর অপরপার্থে কি একটা শব্দ হইল। ষেন উপরিস্থ বটবৃক্ষের শাখা হইতে কিছু গুরু পদার্থ পড়িল। আমি সে দিগের কপাট অল্প খুলিয়া দেখিলাম। দেখিলাম, যে এক জন কৃষ্ণবর্ণ বিকটাকার ময়ন্ত ।
পাতা:ইন্দিরা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৯০
অবয়ব