পাতা:ইন্দুপ্রভা নাটক - গিরিশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইন্দুপ্রভ নাটক ૧૭ কচ্চে । রাজা বিচিত্রবাহু কি পূণ্যবাণ ! সে এই সুধারস দিবারাত্র পণন কচেচ । তার মতন পরম সুখী ব্যক্তি বোধ হয় এ পৃথিবীতে আর কেউ নাই । আহা ! যদি কোন প্রকারে এই অনুপমা রূপগুণসম্পন্ন কামিনীকে লাভ কতে পারি, তা হলে আর আমার মুখের পরিসীমা থাকে না । (পরিক্রমণ করিয়া ) আমি ত রক্ষকুলপতি দশাননের ন্যায় এই পঞ্চবটী বনে জানকীহরণ কতে এসে উপস্থিত হয়েছি, আর মায়াবী মারীচকেও অগ্রে প্রেরণ করেছি । তা দেখি এ দশননের ভাগ্যে কি ঘটে । এক্ষণে কোন প্রকারে শ্রীরামচন্দ্রকে একবার বহির্গত কত্তে পাল্লে আমার অভিসন্ধির কথঞ্চিৎ সুরাহা হয় । আমার এতট। পরিশ্রম আর এত চেষ্টা কি একবারে সকলই বিফল হবে ? কিয়দংশে ও কতকার্য্য হতে পারব না ? ভাল দেখাই যাক, জগদীশ্বর কি করেন । যে রূপ আড়ম্বরটা করা হয়েছে, এতে বেশ বোধ হচে যে আমার আশা পরিপূর্ণ হলেও হতে পারে । আর যে জন্যে এ স্থানে প্রবেশ করেছি, সে আশি ও ত এই রাজকুলবালাদের মধুর কণ্ঠে কথঞ্চিং ফলবতী হবার সম্ভাবনা দেখছি । যাহোক, এ স্থানটা অতি নির্জন বোধ হচ্চে ; তা ক্ষণকালের জন্যে এই বৃক্ষবাটিকায় উপবেশন করা যাক্ । (উপবেশন । ) নেপথ্যে । কেমন ভাই ! এই বার কি হবে ? এবার তুমি একটা ন গাইলে ত কখনই ছাড় বন । নেপথ্যে । কেন লা! আমার দায়টা পড়েছে। নিপুণিকে না গাইলে ত আমি গাইব না । নেপথ্যে । আহা ! বেশ লো বেশ । তোর রঙ্গ দেখে যে আর বঁাচিনে। একবারে যে রেগে দশটা ৷