যেমন দেখিয়াছিলাম, তদপেক্ষা এই সমস্ত ছবি নিকৃষ্ট বোধ হইল। কারণ প্রায় সকল ছবিগুলি অতি পুরাতন এবং তন্নিমিত্ত বিবর্ণ হইয়া গিয়াছে।
মিলান হইতে ভিনিস নগরে গেলাম। পূর্ব্বে যে এই নগর অতি ঐশ্বর্য্যশালী ছিল, নগর দেখিলেই তাহা স্পষ্ট বোধ হয়। তাহার গির্জা সমস্ত কি ছোট, কি বড়, দেখিতে অতি শোভাময়; এবং অট্টালিকা সকল রাজভবনের ন্যায়। নগরের বিশেষ শোভা এই যে, অন্য নগরে যে স্থানে রাস্তা পথ থাকে, এ নগরের সে স্থানে সমুদ্রজল জোয়ার ভাটা খেলিতেছে। বস্তুতঃ এই নগর সমুদ্রের উপর নির্ম্মিত, অট্টালিকা সকল সমুদ্র হইতে উথিত ও এক বাটী হইতে অন্য বাটীতে যাইতে হইলে নৌকাদ্বারা যাইতে হয়। এরূপ অভিনবদর্শন পৃথিবীর আর কোথাও দেখা যায় না। বিশেষ ইহার পূর্ব্ববৃত্তান্ত স্মরণ করিলে ইহার আদর অনেক গুণে বৃদ্ধি হয়। ইহার এক্ষণে এইরূপ ভগ্নাবস্থা ও দুর্দ্দশা, কিন্তু পূর্ব্বকালে এই নগর ইয়ুরোপের মধ্যে সর্ব্বশ্রেষ্ঠ বাণিজ্যস্থান ও প্রজাতন্ত্রের জন্মভুমিসরূপ ছিল।
তিন দিবস ভিনিস্ নগরে অবস্থান করিয়া তথাকার দর্শনযোগ্য সামগ্রী সমগ্র অর্থাৎ রাজপ্রাসাদ ও সভাগৃহ প্রভৃতি সন্দর্শন করিলাম। সভামন্দিরটী অতি বৃহৎ এবং উত্তম উত্তম ছবিদ্বারা সুশোভিত।
এখানে যে সকল ভয়ানক কারাগার আছে, তাহা সম্যক রূপে বর্ণনা করা সাধ্যাতীত।
এই স্থান ও কারাগারের নিকটে একটা বৃহৎ গির্জা ঘর