বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:ইয়ুরোপে তিন বৎসর.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

করিলাম। যেখানে সেই অসভ্য সময়ে কতই বড় বড় লোক রুদ্ধ হইয়া ক্রমে কালকবলে কবলিত হইয়াছেন, এবং বোধ হয় কত বরাঙ্গনাও কারারুদ্ধ ছিলেন। যথায় কিরীটধারী কত মহোদয় আমোদ প্রমোণ করিয়াছিলেন, যথায় কুলীনপুত্রেরা এবং সম্মানিত সীমন্তিনীগণ লোকের আনন্দবর্দ্ধন করিয়াছিলেন, তথায় এক্ষণে তার কিছুই নাই; কেবল কতকগুলা কাকপক্ষী বাসা করিয়াছে, এবং উৎসধ্বনির পরিবর্ত্তে কেবল ‘কা’ ‘কা’ শব্দ প্রতিধ্বনিত হইতেছে, বোধ হয় যেন তাহার বিগত গৌরবকে চিতাশায়ী করিতে হরি সংকীর্ত্তন করিতেছে।

 পেভেন্সি গ্রামে কতিপয় যৎসামান্য কুটীর, একটা গির্জা এবং একটা পান্থশালা আছে। আমরা যেমন সমুদ্রপথে পেভেন্সি গ্রামে গিয়াছিলাম, তেমনি আবার সমুদ্রপথে তথা হইতে প্রত্যাগত হইলাম; পথিমধ্যে মার্টিলো টাউয়ার্স সন্দর্শন করলাম। ১৮০৪ সালে যখন বোনাপার্টি ইংলণ্ড আক্রমণ করিতে কৃতসংকল্প হইয়াছিলেন, তৎকালে ইংরাজেরা কেণ্ট ও সসেক্স প্রদেশের দক্ষিণকূলে এই সমস্ত দুর্গ নির্মাণ করিয়াছিল।

 আপনাকে শেষে যে পত্র লিখিয়াছি, তাহার পর হইতে আমরা রমণীয় ক্ষেত্রে বেড়াইতেছি, উত্তুঙ্গ শৈলে আরোহণ করিতেছি, এবং ভগ্ন দুর্গ সকল দেখিতেছি, কখন যদৃচ্ছা বেড়াইতেছি, কখন নৌকায় দাঁড় বাহিয়া যাইতেছি, কখন পল্লীগ্রামে দিনাতিপাত করিতেছি। সে দিন হর্ষ্টমন্‌সো দুর্গ দেখিতে গিয়াছিলাম। ইংলণ্ডের মধ্যে যত ভগ্ন দুর্গ আছে, তন্মধ্যে ইহা অতীব সুন্দর। মধ্যযুগের ইতিহাসে দুর্গ সমূহের