পাতা:ইলিয়ড্‌ - যোগেন্দ্রনাথ কাব্যবিনোদ.pdf/৬৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইলিয়ড । যাও হে পাবক ] ক্রোধ প্রকাশি ত্বরায়, করহ শোষণ নদীনীর সমুদায় ; পোড়া ও সৈকত, (না নিবারি যতক্ষণ,) অনলের পরাক্রম কর প্রদর্শন । দেবীর বচনে দেব ক্রোধান্ধ হইয়া, ক্ষেত্র’পরে বহিরাশি দিলেন ঢালিয়া ; ভস্ম করি’ শবচয়ে, দগ্ধ করে স্থল ; লাগিল ফুটিতে এবে তটিনীর জল । বহি’ বরিয়স বায়ু, শরৎ-সময়, যথা যবে করে শুষ্ক ক্ষেত্র সমুদয়, সেইরূপ শ্বেতভাব ধরে ভূমিতল ; করিল তেমনি এই ভাস্কনি-অনল । গ্ধ হয় শরবন অতি দ্রুতগতি ; বেড়িল সৈকত বহ্নি ভয়ঙ্কর অতি । মহামহা মহীরুহ ভস্মীভূত হয় ; ত্যজে প্রাণ কুমুদিনী, কমল নিচয় ; তাশ্বথ তমাল তাল হয় অন্তর্হিত ; যতেক জলজ বৃক্ষ পুড়িল ত্বরিত। জ্বলিল তরঙ্গচয় ; জলচর গণ, হইয়া অনলদগ্ধ, হারায় জীবন । কাতর রোহিতকুল, অনল-জুtলায়, কতু ডুবে, কভু ভাসে, কভু বা গড়ায় । অবশেষে নদীনাথ উত্তোলিয়া শির, কহেন অনল-দেবে হইয়া অধীর ;– ভল্কান f রোধিবে তোমা হেন সাধ্য কা’র ? মৃতপ্রায় আমি, নাহি সামর্থ্য আমার—