পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষ ত কোথায় থাকে ;- যাদের চাকরী করেছি, আর এখনও করছি, তারা ষোল আনা মাহিনে দেয়, আঠারো আনা খেটে দিই, --ব্যস। প্ৰণাম করব কেন ? কার কাছে কি উপকার পেয়েছিকপার কাছে দুটো মিষ্টি কথা পেয়েছি যে, তাকে প্ৰণাম করব। এই যে তোমরা যখন গাড়ী থেকে নামলে, তোমরা ত বামুন, তোমাদের ত প্ৰণাম করতে হয় শাস্তরে লেখে । আমি কি প্ৰণাম করেছিলাম ? সে ছেলে পাও নি এই রমেশ জানাকে মােঠাকরুণ ! আজ এই আপনাকে মােঠাকরুণ, প্ৰথম প্ৰণাম করছি ; আর বয়সে ছােট হলে কি হয়—আর এই তােমাকে প্ৰণাম করছি দিদি লক্ষ্মী! রমেশ জানার মাথাটা তোমরাই নোয়ালে এই এতকাল পরে।” এই বলিয়া রমেশ দুইজনকে প্ৰণাম করিল। বড় কৰ্ত্তা বলিলেন, “আমাকে একটা প্ৰণাম করলেন। রমেশ ” রমেশ অমানবদনে বলিল “না, ঠাকুর মশাই। রমেশ জানা মানুষ চেনে। এখন যাই । আবার আসব এখন । রাত্তিরে এসে মােঠাকরুণ, দিদি ঠাকরুণ, গান শুনিয়ে যাব।” এই বলিয়া রমেশ চলিয়া গেল । বড় কৰ্ত্তা বলিলেন “মা লক্ষ্মী, এই যে, রমেশকে দেখছ, এ দেবতা-মানুষ নয় ।” রমেশ চলিয়া যাওয়ার পরই সত্যবাবু আসিয়া উপস্থিত হইলেন ; সঙ্গে একটা লোক ; তাহার মাথায় একটা চেঙ্গারি । বাড়ীর মধ্যে প্রবেশ করিয়াই তিনি ডাকিলেন “বাড়িয্যেমশাই, একবার বাইরে আসবেন।”