পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রমেশের কাছে তাহারা কত সময় কত উপকার পাইয়াছে ; আর এই অসময়ে, বিপদে তাহার সাহায্য করিবে না । তবে পয়সা,-সে। কি আর ছাড়া যায় ;-এ যে তাহদের ব্যবসায় । * রামা ঘরের মধ্যে প্ৰবেশ করিয়া থমকিয়া দাড়াইল। কিছুক্ষণ দুইটী মৃতদেহ দেখিয়া বলিল, “রমেশদা ! এ যে হরগৌরী দাদা ! এতদিন এই কাশীতে এত মড়া পুড়িয়েছি, এমন ত দেখি নেই।” এই বলিয়া সে ভূমিষ্ঠ হইয়া প্ৰণাম করিল। তাহার পর বাহিরে আসিয়া বলিল “দেখ , ব্যাটারা, এতদিন অনেক মড়া পুড়িয়েছিস ; আজ যাদের পোড়াবি, তেমন কোন দিন দেখিস নি—একেবারে হরগৌরী । কি বলব, রাত্ৰি, নইলে সমস্ত কাশীধাম ঘুরিয়ে নিয়ে যেতাম-লোকে দেখতে কেমন মরণ ।” রমেশ সেই সময় বাহিরে আসিয়া বলিল, “রাম, তোদের সঙ্গে ত কোন কথা হয় নাই ; ডেকেছি, আর এসেছিস । এখন বলি, তোরা দশজনে কত নিবি । কিন্তু বলে দিচ্ছি। ভাই, ঘাটে নিয়ে ফেলেই পালাতে পারবি নে। দেখছিস “ত এর ব্ৰাহ্মণ । আমি ত আর ছুতে-করতে পারব না। থাকবার মধ্যে আছে ঐ একটা মাত্ৰ মেয়ে। ও আর কি করবে ? তোদেরই সব করতে হবে, বুঝলি।” রামা বলিল, “সব বুঝেছি দাদা । কিন্তু কি করব, এই আমাদের পেশা ; নইলে কি টাকা চাই । তা দেখ, এই রাত্ৰে, আর আজকালকার এই দিনে জন-প্ৰতি পােচ টাকার কমে y \ongo