পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ব্ৰহ্মচারিণীর কথা তাহার মনে হইল । সে মনে মনে বলিল, “দেখি না, ইনি কি বলেন। পরামর্শ জিজ্ঞাসায় ক্ষতি কি । মনের মত হয়, বিশ্বাস হয়, গ্ৰহণ করিব ; না হয়, চলিয়া আসিব ।” • এই ভাবিয়া একদিন মধ্যায়-সময়ে লক্ষ্মীকে বলিল, “দিদি। লক্ষ্মী, আমি একটা কাজের জন্য একটু বাইরে যাব। দেরা হবে না, এই ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই আসব। তুমি বাইরের দুয়ারটা বন্দ করে দিয়ে যাও ত ।” রমেশ সকালে ও বিকালে বাজার করিতে যাওয়া ব্যতীত এ কয়দিন আর বাহিরে যায় নাই ; আজ এই অসময়ে তাহাকে বাহিরে যাইতে দেখিয়া লক্ষ্মী বলিল, “রমেশদা, তুমি বুঝি - টাকা আনতে যােচ্ছ ? দেখ, আমার একটা ভাবনা হয়েছে। তুমি এই যে খরচ করছ, তারপর ? যখন তোমার টাকা ফুরিয়ে যাবে, তখন কি হবে ?” রমেশ বলিল, “তার অনেক দেরী আছে। এতদিনের মধ্যে যা হয় একটা হয়ে যাবে । আমিই কি আর বসে থাকব । এই কটা মাস যাক না । তারপর কি করব জান ? এ বাড়ী ছেড়ে দেব । সদর রাস্তায় একটা ছোট বাড়ী নেব । তার বাইরের দিকের ঘরে একটা দোকান করব । সেই দোকান থেকে যা লাভ হবে, তাইতে আমাদের বেশ চলে যাবে } সে সব আমি ভেবে-চিন্তে রেখেছি। কয়টা মাস কোন রকমে কাটাতে পারলেই হয়। টাকার কথা বলছিলে দিদি লক্ষ্মী ! يا (چ