পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলি কি, রমেশ দাদা বিশ্বনাথকে আশীৰ্ব্বাদ করবে ; রমেশ দাদাই এ বিবাহের কন্যাকৰ্ত্তা ।” রমেশ বলিল, “ঠাকুর মশাই, শুনলেন এদের কথা। আমি রমেশ জানা পৃথিবীর কারো আত্মীয় নই ; কারও সংসারেয় কোন ধার ধারি নে। এই লক্ষ্মী সরস্বতী দুইটাতে মিলে আমাকে এই বারটা বছর ভূতের ব্যাগার খাটিয়ে নিল। তার পর এখন বলে কি না, আশীৰ্ব্বাদ করা। তার পর বলে বসবে, এদের ঘরসংসার বেঁধে দেও । না, দিদিমণিরা, রমেশ জানা আর ফাদে পা দিচ্ছেন না। এই বারটা বছর, বুঝলেন ভুবন বাবু, এই বারটা বছর ঐ ক্ষুদে মেয়েটা আমার সব ওলট-পালট করে দিয়েছে। দিদি লক্ষ্মী ত চলেই গেলেন ; ধরা পড়লেন। ঐ সরস্বতী ঠাকরুণ, আর ধরা পড়লেন এই রমেশ জানা ! ওঁর ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম উড়ে গেল, জপ-তপ চলে গোল—সুধু ঈশানী, আর ঈশানী। আর আমার কথা কি বলবি ; আমি এই কাশীতে পঞ্চাশ বছর বুক ফুলিয়ে বেড়িয়েছি ; যা খুন্সী তাই করেছি ; কোন ভাবনা-চিন্তে ছিল না। কাশীশ্বর বললেন, রও রমেশ জানা, তোমায় মজা দেখাচ্ছি। দেখুন না ঠাকুর মশাই, কোথাকার বাঙ্গাল দেশের এক মেয়ে এসে পড়বি না পড়বি এই রমেশ জানার কঁাধের উপর। কেন রে বাপু, কাশীতে কি আর মানুষ ছিল না ! তার পর দেখুন, এই বারটা বছর রমেশ জানা আর আগেকার সে রমেশ ছিল না। এমন বাধনেও বাধতে হয়। ঠাকুর মশাই! এ সব ত আপনারই কাজ। আমি স্পষ্ট বলছি দিদি লক্ষ্মী > S) R