পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমি আজ বঙ্গদেশে যাত্ৰা করিব। তাহারা যদি বাঁচিয়া থাকে, তাহাদিগকে এই উৎসব-ক্ষেত্রে লইয়া আসিব । এই ত তোমার কথা মা !” লক্ষ্মী সন্ন্যাসীর চরণে প্ৰণাম করিল। 来 来 米 来源 শুভদিনে বিশ্বনাথের সহিত ঈশানীর বিবাহ হইল। কন্যা সম্প্রদান করিলেন লক্ষ্মীর কাকা শ্ৰীযুক্ত হরেকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় । ভুবনবাবু একমাত্র পুত্রের বিবাহে সমারোহের ত্রুটী করেন নাই। আত্মীয় বন্ধু-বান্ধব সকলকেই নিমন্ত্ৰণ করিয়াছিলেন ; কাশীর ব্রাহ্মণ পণ্ডিত ও অধ্যাপকগণেরও দ্বারস্থ হইয়াছিলেন । কেহ কেহ আসিলেন, কেহ বা আসিলেন না। ভুবন বাবু তাহাতে ভীত বা দুঃখিত হইলেন না, কারণ এ ব্যাপারে মত ভেদ বৰ্ত্তমান সময়ে হইবেই, তাহা তিনি জানিতেন। এদিকে সরস্বতী দেবীও আয়োজনের ক্ৰটী করেন নাই ; তঁাহার যাহা কিছু সঞ্চিত ছিল, সমস্তই তিনি এই ব্যাপারে উৎসর্গ করিয়া দিলেন। কাশী সহ রময় একটা হুলস্থূল পড়িয়া গেল । বিবাহের আনুষঙ্গিক কাৰ্য্যকলাপ শেষ হইয়া গেল। এখন এই দৃশ্যের অভিনেতৃবর্গের বিদায়ের পালা। সন্ন্যাসী একদিন সকলকে সমবেত করিয়া বলিলেন, “বাবা বিশ্বনাথের কৃপায় ঈশানীর বিবাহ সুসম্পন্ন হইয়া গেল। এখন তোমাদের সম্বন্ধে কৰ্ত্তব্য অবধারণ করিতে হইবে। তোমরা কে কি করিতে চাও, অমান-বদনে আমার নিকট খুলিয়া বল।” > Fd 4