পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বালিয়া বড় বেী রান্নাঘরের দৈ কে যাইতে-যাইতে বলিলেন, “শীতল, বাবা, এইখানে একটু জলছড়া দিয়ে, পাতা নিয়ে বোস। লক্ষ্মী, বাইরে একটা আলো যে দিতে হবে।” শীতল বলিল, “আর আলো লাগবে না, এমন চাঁদের আলো SCC “না, না, তা কি হয়৷ ” এই বলিয়া বড় বেী শয়নঘরে ফিরিয়া গেলেন এবং ঘরের মধ্যে যে প্ৰদীপ ছিল, তাই আনিয়া দিলেন। হরেকৃষ্ণ রান্নাঘরের বারানদায় আহার করিতে বসিলে ছোটবীে বাহিরে শীতল ও নগার ভাত দিয়া গেলেন। বড়বীে বলিলেন, “শীতল, তাড়াতাড়িতে এত রাত্তিরে সুধু মাছের ঝোল, আর ভাত । তোমাদের বড় কষ্ট হোলো । তা দেখ, কা’ল তোমরা এসে প্ৰসাদ পেয়ে যে, ও । তোমার মেয়েকে 3 সঙ্গে করে এন, বুঝলে।” শীতল বলিল, “ম-ঠাকরুণ, আপনাদেরই তা খাচ্চি। এই ত বেশ খাওয়া হোলো, কা’ল আবার কেন ?” “না, না, সে হবে না, কাল নিশ্চয়ই এস।” নগা বলিল, “তা আসব বৈ কি ! পিসিঠাকুরুণ, আর একটু ঝোল দেবে গো!” লক্ষ্মী খানিকটা ঝোল ও মাছ দিয়া গেল । হরেকৃষ্ণ গল্প আরম্ভ করিতেই বড়কৰ্ত্তা বলিলেন, “তুরি, আর না, শো ওগে, তোমার অবশিষ্ট গল্প কা’ল শোনা যাবে।”