পাতা:ঈশানী (প্রথম সংস্করণ) - জলধর সেন.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সে উঠিয়া বসিতে পারে না। পাচ দিনের অসুখ তাহাকে একেবারে মৃতকল্প করিয়া ফেলিয়াছিল। লক্ষ্মীর শরীরের জর ছাড়িলে কি হয়, মনের জর যে ছাড়ে না; সুধু ছাড়ে না নহে—সে জ্বর যে ক্রমেই বাড়িতে লাগিল । যে কয়দিন arাস অজ্ঞান হইয়া ছিল, সে কয়দিন তাহার পক্ষে ভালই হইয়াছিল ; তাহার হৃদয়ের জ্বালা ত সে বুঝিতে পারে নাই। এখন জ্ঞান-সঞ্চারের পর হইতে তাহার হৃদয়ে যে তুষানল জ্বলিয়া উঠিল, কিছুতেই ত তাহা নির্বাপিত হয় না ; পৃথিবীতে এমন চিকিৎসক নাই-এমন কোন ঔষধ নাই, যাহাতে তাহার জালা দূর করিতে পারে । এক চিকিৎসক যম ; কিন্তু সে ত আসিয়াও ফিরিয়া গেল, তাহাকে লইয়া গেল না ; আর ও কষ্ট ভোগের জন্য তাহাকে রাখিয়া গেল । সে বিছানায় পড়িয়া সুধুই ভাবে, কি অপরাধে আমার এমন কঠোর শাস্তি হইল ? এ জীবনে এমন কি পাপ করিয়াছি, তাহার ফলে এই নরকভোগ আমার অদৃষ্টে লিখিত হইয়াছিল ? যাহারা আমাকে লইয়া গেল, তাহারা মারিয়া ফেলিল না কেন ? তাহা হইলে তা এত কষ্ট, এত যন্ত্রণা ভোগ করিতে হইত না ।” এক একবার ভাবে, কে তাহারা, যাহারা তাহার এ সৰ্ব্বনাশ করিল ? সে ত কাহাকেও চিনিতে পারে নাই । অন্ধকার রাত্ৰিতে চোরের মত আসিয়া তাহার জীবনের যাহা সার রত্ন, তাহাই চুরী করিল। কে তাহারা ? ওগো দয়াময়, একবার বলিয়া দেও, কে তাহারা ? বিধাতা, কুলীন ব্ৰাহ্মণের ঘরে মেয়ে VOR