পাতা:উড়িশ্যার ইতিহাস.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

в я } শোভনদেব-রক্তবাহুর আক্রমণ । 器剑 কিম্বদন্তী এই ষে, রক্তবাহু নামে এক পরাক্রমশালী • যবন, বহুল সৈন্য, অশ্ব ও হস্তী সংগ্ৰহ করিয়া অর্ণবযানারোহণে জগন্নাথ ক্ষে ত্ৰাভিমুখে আসিয়া সহসা পুরী অধিকার করণের অভিসন্ধিতে সন্নিহিতসাগরে নঙ্গর করিয়া থাকেন , ইত্যবসরে পোতস্থিত হস্তী ও অশ্বাদির পুরীষ এবং তৃণাদি বিপুল পরিমাণে সমুদ্র জলে ভাসমান ও তটবর্তী হইয়া লোকদিগের নরনগোচর হইলে তাহার রাজসন্নিধানে গিয়া এই অসামান্য ব্যাপার নিবেদন করিল । রাজা ভয়াকুলচিতে প্রজাউর মূৰ্ত্তি মন্দির হইতে বাহির করিয়া সমস্ত তৈজস ও রত্নাদি সহকারে শকটে সংস্থাপন পূর্বক তাহার অধিকারের প্রান্ত ভাগে শোণপুর গোপালী নামক স্থানে পলায়ন করিলেন । যবনের অর্ণবপোত হইতে অবতরণ করিয়া রাজাকে দেখিতে না পাইয়া নগর ও দেবমন্দির বিলুণ্ঠন এবং নানাবিধ অত্যাচার করিতে লাগিল । রাজা এই সকল ব্যাপার অবগত হইয়া অধিকতর ভীত হইলেন ও শ্রীমূৰ্ত্তি মৃত্তিকাতে প্রোথিত করিয়া তথায় এক বটবৃক্ষ স্থাপন পূর্বক অতি দূরবর্তী এক অরণ্য মধ্যে প্রস্থান করিলেন । রাজা কি উপায় দ্বারা যবনদিগের আগমন বার্তা জ্ঞাত হইয়া পলায়ন করিয়াছেন, রক্তবাহু তাহা জানিতে পারিয়া সমুদ্রের প্রতি অভ্যন্ত ক্রোধাম্বিত হইলেন ও স্বীয় সৈন্য সন্নিবেশিত করিয়া সমুদ্রকে