পাতা:উদ্ভিদের চেতনা - সত্যেন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত.pdf/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
প্রাণী ও উদ্ভিদ

পাঠাইবার যে বেতারযন্ত্র আজ পৃথিবীময় ছড়াইয়া পড়িয়াছে, তাহার অন্তরের কথাটি যাঁহারা সর্ব্বপ্রথম লোক-সমাজে প্রকাশ করিয়াছিলেন, আচার্য্য জগদীশ তাঁহাদের অন্যতম। বেতারের গেলেনা-গ্রাহক যন্ত্রটি (Gelena Receiver) আচার্য্যই প্রথম আবিষ্কার করেন। এখন ইহা লোকের ঘরে ঘরে দূরের গান-বাজনা, দূরান্তে সংবাদ সংগ্রহ করিয়া দিতেছে।

 প্রথম জীবনে জড়বিজ্ঞানের সাধনা করিলেও প্রাপ্ত বয়সে উদ্ভিদ্‌জাতির জীবন-মরণ সমস্যা মিটাইবার জন্যই তিনি আপনার সমস্ত শক্তি, সমস্ত চিন্তা ঢালিয়া দিয়াছেন! এই মনীষীর জ্ঞান-গরিমার প্রতি শ্রদ্ধা জানাইবার জন্য কলিকাতা এবং লণ্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ইহাকে “বিজ্ঞানাচার্য” (D.Sc.) উপাধিতে ভূষিত করিয়াছেন। ১৯১৭ সালে ইনি বিলাতের রয়াল সোসাইটীর সভ্য (F.R. S.) মনোনীত হইয়াছেন। সর্ব্ববাদী-সম্মত শ্রেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক ভিন্ন এই সভা আর কাহাকেও সভ্য মনোনীত করেন না। চতুর্দ্দিক হইতে অজস্র ধারে তাঁহার উপর সম্মান বর্ষিত হইয়াছে, তিনি কিন্তু অবিচলিত ভাবে বিজ্ঞানের সেবাতে, জ্ঞানের তপস্যাতেই আপনা ভুলিয়া আছেন বর্ত্তমান সময়ে উদ্ভিদ্-বিজ্ঞানে তাঁহার মত সর্ব্বজনপরিচিত ও সর্ব্বদেশপূজ্য পণ্ডিত পৃথিবীতে আর অল্পই আছে। আইন্‌ষ্টাইন্‌-সোডাটু-লোরেঞ্জ-প্রভৃতি প্রখ্যাত