পাতা:উপদেশ ও শিক্ষা - ক্ষেত্রমোহন সেনগুপ্ত.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিদ্যা ও শিক্ষা।

দুইটী উপায়ই অবলম্বন করিতে হইবে, কেবল উপদেশে বা কেবল আদর্শে নির্ভর করিলে চলিবে না। আদর্শের অভাব উপদেশে পূর্ণ করিতে হইবে; উপদেশ আদর্শের গুণে গভীরভাবে অঙ্কিত হইবে। কেবল উপদেশে শিক্ষা দিলে, জ্ঞানোপার্জ্জনে অসুবিধা ও বিলম্ব ঘটিয়া থাকে; এই নিমিত্ত উপদেশের সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ আবশ্যক।

 অধ্যবসায় কাহাকে বলে, উপদেশে তাহার শিক্ষা দিয়া, একটী বিখ্যাত অধ্যবসায়ী মহাজনকে আদর্শরূপে সম্মুখে ধরিয়া দাও; বালকের জ্ঞানলাভ সহজেই হইবে। অধ্যবসায়শীল মানবের দৃষ্টান্ত না পাও, মধুমক্ষিকা ও পিপীলিকা প্রভৃতি সামান্য জীবের অসামান্য অধ্যবসায় আদর্শরূপে উপস্থিত কর; শিশুর শিক্ষাপথ সহজেই প্রশস্ত হইয়া পড়িবে। পিতৃভক্তি শিখাইবার সময় রামকে আদর্শ কর; ভ্রাতৃভক্তির সময় লক্ষ্মণকে লইয়া আইস। ইতিহাস এবং পুরাণে এইরূপ কত আদর্শ পাইবে।