পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9bア উপদেশ । ব্যবধান ও পার্থক্য ভাঙ্গিয়া এক করিতে চাই। আমাদের মনের ইচ্ছা । —-ভগবানের প্রেরণা, অন্তরের আবেগ—র্তাহাকে পাইবার আগ্রহ, জীবনের সমস্ত কাৰ্য্য—সেই পরম নিয়ন্তার প্রভাব, বাহিরের চেষ্টা উদযোগ—অন্তরের গভীর ভাব প্রকাশ মাত্র । অতএব মানবের অন্তর ও বাহিরে ব্রহ্মজ্যোতি ব্রহ্মবিকাশ ভিন্ন আর কিছুই নাই। অধ্যাত্মরাজ্যের কথা ছাড়িয়া দাও, এই বাহা জগতের দিকে দৃষ্টিপাত কর, ইহার কোন তারকাতে র্তাহার জ্যোতি নাই, ইহার কোন সৈকতে, কোন বনস্পতিতে, কোন শস্তক্ষেত্রে পরমেশ্বরের জ্যোতি প্রকাশ পাইতেছে না ? জগন্ময় এই একই অখণ্ড সচ্চিদানন্দের আনন্দ ও শান্তি। এই জড় চৈতন্তময়ের প্রকাশের প্রদীপ্ত আলো। যদি ইহা দেখিতে না পাও, তুমি জড়ে জড়িত হইবে ; কিন্তু যদি তাবৎ সৃষ্টির ভিতরে, জীবনের সুখে দুঃখে, সম্পদে বিপদে চৈতন্যময় মহান আত্মাকে দর্শন কর, তবে তোমার নিকট জড় ও চৈতন্তে প্রভেদ কি রহিল । অতএব বাহির অন্তরকে এক কর । বাহিরে ভগবানের আত্মপ্রকাশরুপ সৌন্দৰ্য্য, বিধাতার বিচিত্র ইচ্ছাময় হস্তের লেখনী দ্বারা, তোমার অন্তরে চিত্রিত আছে, দর্শন কর ; অস্তরে ভগবানের প্রসাদরূপ ধৰ্ম্মভাবের সমস্ত গভীরতা বাহিরে প্রকাশ হইতে দাও। এক অখণ্ড সচ্চিদানন্দের মহাজ্যোতিতে সমস্ত পরিপূর্ণ হউক। বেশি বলিব না। আর একটা কথা এই যে, ধৰ্ম্মের অন্তমুখীন গভীরতা ও বহির্মুখীন অনুষ্ঠান কিরূপে মিলিত হয়, কিরূপে সমস্ত বাহাদৃশ্য, সমস্ত জীবনের কার্য্য অন্তরের ঐশ্বৰ্য্যে পরিণত হয়, কিরূপে আন্তরিক ধৰ্ম্মের গভীরতা জীবনের প্রভাব ও দীপ্তিরূপে বাহিরে প্রকাশ পায়, ইহার মূল কি ? সকলে বলিবেন ব্রহ্মরূপ । যদি ব্রহ্মরূপ সমাগত হইল, আর যদি আত্মা ব্ৰহ্মইচ্ছার অধীন হইল, তবে আমি আকাশের উপরেই ভ্রমণ করি, আর