পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি સ્વ ইন্দ্রিয় ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সকল আছে, শিরা পাকস্থলী আছে, তাহারা আবার আপনা অপেক্ষ ক্ষুদ্র জন্তু ধরিয়া আহার করে, ইহা দেখিয়া কে বুকে হাত দিয়া বলিবে এ সকল পরিমিত হস্তের নিৰ্ম্মিত? উদ্ভিদজগতের সুশৃঙ্খলা, জীবরাজ্যের স্থপরিপাটী নিয়ম, দেহ নিৰ্ম্মাণের অপূৰ্ব্ব কৌশল, ভৌতিক-জগতের অতীত, অন্তর-রাজ্যের দুরবগাহ অচিন্তনীয় ব্যাপার সকল, এই সমুদায় অনন্ত ব্যাপার কি পরিমিত দেবতার পরিমিত শক্তির কার্য্য হইতে পারে ? কখনই নয়। যাহাদিগের বুদ্ধির লেশ আছে, তাহারা কখনই একথা সাহস করিয়া বলিতে পারেন না । অতএব যিনি অসীম জগতের কর্তা নিয়ন্ত, তিনি অনন্ত নিরাকার বটেন ; পরিমিত সাকার নন । এস্থলে এই প্রশ্ন হইতে পারে যিনি নিরাকার, র্যাহাকে চক্ষে দেখা যায় না, তাহাকে মনুষ্য কি প্রকারে জানিবে ও উপাসনা করিবে ? জড়বস্তু, বাহ-জগৎকে জড় চক্ষু ও বাহ ইন্দ্রিয় দ্বারা দর্শন ও উপলব্ধি করা যায় । নিরাকার ঈশ্বর জ্ঞান-চক্ষু— অন্তরেন্দ্রিয় যোগে উপলব্ধ হন। জিজ্ঞাসা করি, তোমার আত্মা সাকার না নিরাকার ? আত্মাতে সাকার নয়, তাহাকে তো চক্ষে দেখা যায় না, তবে আত্মাকে কি প্রকারে জানিতেছ? আমার শরীর, আমার হস্ত পদ, আমার চক্ষুঃ কর্ণ, সকলেই বলেন ; এইক্ষণ জিজ্ঞাস্ত আমি