পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ধৰ্ম্ম ও নীতি > 。 অন্তরে যে ধৰ্ম্মের আদর্শ রহিয়াছে, তাহার সঙ্গে সেই পুস্তকের কথার মিল হয় না বেদ কোরাণ বাইবেলের উপদেশ পাঠ কর, তাহাকে ধৰ্ম্মবাক্য বলিয়া স্বীকার করিবে । অতএব ধৰ্ম্মজ্ঞান মনুষ্যের অন্তরে রহিয়াছে, পুস্তকাদি সেই জ্ঞান আনিয়া দিতে পারে না, ধৰ্ম্মপুস্তক ও ধৰ্ম্মোপদেশ অন্তরে ধৰ্ম্মভাবকে উদ্দীপিত করিয়া দেয় মাত্র । যদি অন্তরে সেই মৌলিক জ্ঞান না থাকে, বাহিরের কোন বস্তুই তাহ আনিয়া দিতে পারে না । বেদ কোরাণ বাইবেল ইত্যদি ধৰ্ম্মপুস্তক ঈশ্বর প্রণীত অভ্রান্ত নহে । তাহাতে মনুম্ভের ক্ষুদ্রভাব ও তৎসময় প্রচলিত কুসংস্কার অনেক দেখিতে পাওয়া যায় । এই সকল পুস্তকের সমুদায় কথাকে অভ্রান্ত ঈশ্বরের বাক্য বলিয়া স্বীকার করিয়া নেওয়া অন্যায় । তাহাতে জীবনের উন্নতির দ্বার রোধ, মনুষ্যের উচ্চ অধিকার স্বাধীনতার বিনাশ হয় । ঐ সমস্ত পুস্তকে যাহা সত্য আছে, আদর পূর্বক গ্রহণ করিবে, অসত্যভাগ অশ্রদ্ধার সহিত পরিত্যাগ করিবে । হিন্দুগণ বলেন বেদ ঈশ্বরের বাক্য । খ্ৰীষ্টিয়ানের বাইবেলকে ঈশ্বর প্রণীত, মুসলমানেরা কোরাণকে ঈশ্বরের গ্রন্থ বলিয়া থাকেন, একথা গ্রাহ হইতে পারে না । যদি এই তিন পুস্তকই ঈশ্বর প্রণীত হইত, তবে আমরা