পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৩২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ইতিহাস \&:) 5 তোমরা যখন প্রভাত সূর্য্যের তরুণপ্রভা, কি শুকতারার শুক্লজ্যোতি দর্শন কর, তখন আনন্দিত ও অনুপ্রাণিত হইয়া ইহার ভিতর ঐশ্বৰ্য্যশালী ভগবানের পরম বিভূতি প্রত্যক্ষ কর এবং অনেকক্ষণ সেই দিকে চাহিয়া থাক । কিন্তু জগতের ইতিহাসে, ঘটনাবৈচিত্রের দিকে একবারও চাহিয়া দেখ না। ঐসকল ঘটনার গর্ভে সেই মহাপ্রভাবশালী ভগবানের কত কীৰ্ত্তি, কত মহিমা, কত সামর্থ্য, কত অভিপ্রায়, কত গভীর আত্মপ্রকাশ প্রচ্ছন্ন রহিয়াছে তৎপ্রতি একবারও দৃষ্টিপাত কর না। এই ধারাবাহিক মানবসমাজের গতি, ইহাতে নানা অবস্থার তরঙ্গ, কত অন্তমুখী স্রোত—আবৰ্ত্ত, কত উত্থান পতন, উন্নতি অধঃপতন, কত মহাজয় ও মহাবিনাশ ইহা কি আপন৷ আপনি হইতেছে ? কত জাতি, কত জীবন, কত ধৰ্ম্মবিধান ভাসিয়া যাইতেছে, কতক বা লক্ষ্যস্থানে পহুছিতেছে, কতক পহুছিতেছেন, কত তরী বাত্যা তাড়িত হইয়া বিপন্ন হইতেছে, ভগবৎ করুণার অনুকূল বাতাসে আবার স্বস্ব কায্য সাধন করিতেছে । এই সমস্ত বিষয় ভাবিয়া দেখ, ইহাকেই জগতক্ষেত্রে পরমাত্মার অভিনয় বলা হয় । ইহা লইয়াই পুরাণ শাস্ত্র, ইহা বিধাতার অস্তিত্বের এবং ক্রিয়ার বিশেষ প্রমাণ । - পূৰ্ব্বতন সময়ে এই প্রণালীতে পরব্রহ্ম কাৰ্য্য