পাতা:উপদেশ (প্রতাপচন্দ্র মজুমদার).djvu/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ψ) ο উপদেশ । যাহা যাহা দেয় আছে, তুমি সে সকল গ্রহণ কর। ব্রাহ্মণ নবীন অনুরাগ এবং ভক্তির সহিত সকলের চরণতলে বসিয়া অনেক সত্য শিক্ষা করিলেন। তাহার হৃদয়কোষে ব্ৰহ্মাগ্নি জলিয়া উঠিল। ভারতে পুনরায় ব্রহ্মতেজ প্রকাশিত হইল। স্থৰ্য্যোদয়ে অন্ধকারের ন্যায় ভারতবর্ষ হইতে কুসংস্কার পলায়ন করিতে লাগিল । সেই সত্যং জ্ঞানমনন্তং ব্রহ্ম র্যাহার গম্ভীর ধ্বনি হিমালয় হইতে সমুদ্র পর্য্যন্ত প্রতিধ্বনিত হইত, পুনরায় নবীন তরুণ ব্রাহ্মদিগের দ্বারা গৃহীত হইলেন । ভারতে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের অঙ্কুর হইতে লাগিল। কিন্তু ঐ ব্রাহ্মণের প্রচারিত ধৰ্ম্মে ব্রাহ্মধৰ্ম্মের শেষ হইল না। নারদের বীণা আবার বাজিয়া উঠিল। গৌরাঙ্গ গঙ্গাতীরে হরিনাম কীৰ্ত্তন করিয়া পাপাসক্ত জীব সকলকে উদ্ধার করিতেন। ব্রাহ্মগণ, তোমাদেরই দেশে গৌরাঙ্গ হরিনাম করিয়া সকলকে মাতাইতেন, অনেক শতাব্দী হরিনামের অপমান হইয়াছে, হরিনামের মধুরতা আস্বাদন না করিলে হৃদয়ের পাপতাপ যায় না। যেমন শতদ্রু নদী চলিয়া যাইতেছে, তেমনি নারদের বীণানিঃস্থত হরিনাম-লহরী চলিয়া যাইতেছে । ব্রাহ্মগণ, চল, সেই লহরীতে অবগাহন করি, প্রাণ মিষ্ট হইবে, শরীর শীতল হইবে। কত জ্ঞানাভিমানী লোক মনে করিয়াছিলেন চৈতন্তকে গৌরব দিয়া কি কুসংস্কারে মরিব ? কিন্তু যখন নারদের মধুর বীণা বাজিল, যখন মধুর হরিনাম কীৰ্ত্তিত হইল, তখন আর র্তাহারা ভক্তি-ভাগীরথীজলে না নামিয়া থাকিতে পারিলেন না। সেই জলে তাহদের কৰ্দ্দমিত শরীর নিৰ্ম্মল হইল, প্রাণ সুখী হইল। দুঃখী যুবকগণ পথে পথে নগরে নগরে হরিনাম প্রচার করিতে আরম্ভ করিল। শত যুদ্ৰাবৃদ্ধ তাহাতে যোগ দিল। কুলবধুর বাতায়নে দাড়াইয়া সেই নামলহরী পান করিতে লাগিল। ব্রাহ্মসমাজে ভক্তির উচ্ছাস উঠিল। যে হতভাগ্য যুবকগণ (ཨཱཿ ཨཱཿ