to উপনিষদের উপদেশ । হইলেন, ভাবিলেন-“একি ? আমার সেই ভুবন-বিদিত পরাক্ৰম আজ এ তৃণ-খণ্ডে কুষ্ঠিত হইল কেন” ? বিস্ময়-বিহবল চিত্তে -ভীত-মনে-অগ্নি অন্যান্য দেবতার নিকটে ফিরিয়া গেলেন এবং আত্ম-পরাজয়-বাৰ্ত্তা প্ৰদান করিলেন। তখন বায়ু মহাদৰ্পে সেই , তেজের সম্মুখীন হইয়া বলিতে লাগিলেন-“এই আমি বায়ু আসিয়াছি । জগতের লোক আমাকে মাতিরিশ্ন। বলিয়া জানে। আমি মনে করিলে এখনই এই বিশ্ব উড়াইয়৷ দিতে পারি” । জ্যোতিঃ কহিলেন- “হে বায়ু ! হে মাতিরিশ্বা ! ধর ; এই তৃণ-খণ্ড গ্ৰহণ করে ; এই তৃণ-খণ্ডকে উড়াইয়া লাও তি দেখি”। আশাচৰ্য্যের বিষয় এই যে, বায়ু নিজের সমস্ত সামর্থ প্ৰয়োগ করিয়াও, সেই সামান্য তৃণ খণ্ডটারে উড়াইতে পারিলেন না !! তখন বায়ু অধোবদনে দেব তাদের নিকটে ফিরিলেন এবং বলিলেন—“না, আমি এই তেজটিকে চিনিতে পারিলাম না”। তখন সকল দেবতার অধীশ্বর ইন্দ্ৰ, সেই তেজের সমীপবৰ্ত্তী হইলেন । কিন্তু সেই তেজ সহসা অন্তর্কি ত হইল এবং সেই আকাশ-মণ্ডলে, বিবিধাভরণ-ভূষিতা, দিব্য-তেজ-বি ভাসিত, একটা রমণী-মূৰ্ত্তি হাসিতে হাসিতে, বিস্মিত ইন্দ্রের নিকটে উপস্থিত হইয়া, বলিতে লাগিলেন—“ইন্দ্ৰ ! বিস্মিত হইও না। এই যে তেজঃপদার্থটা এইমাত্র অন্তৰ্হিত হইলেন, ইহঁাকে ‘ব্ৰহ্ম’ বলিয়া জানিবে । আমি সেই ব্ৰহ্মের শক্তি * । তোমরা যে • ভাষ্যকার এই রমণী-মূৰ্ত্তিকে ‘ব্রহ্মবিদ্যা’ বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়া