পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৩৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ህg br উপনিষদের উপদেশ । qbspag আমরা এই উপদেশে, ব্ৰহ্মোপাসনার যে প্ৰণালী বৰ্ণিত দেখিতে পাইলাম এবং সাধকবর্গের পরকালে গতির সম্বন্ধে যে পথের উল্লেখ পাইলাম, তৎসম্বন্ধে একটু আলোচনা করিতে ইচ্ছা করি। কৰ্ম্ম-মার্গ ও জ্ঞান-মার্গ সম্বন্ধে উপনিষদের যে সিদ্ধান্ত কথিত হইল, ঋগ্বেদের মধ্যেও অবিকল এইরূপ সিদ্ধান্তই দেখিতে পাওয়া যায়। কেহ কেহ মনে করেন যে, ঋগ্বেদ কেবলমাত্র ভৌতিক পদার্থের প্রতি বিস্ময়-প্রকাশক কতকগুলি স্তোত্রের সমষ্টি এবং উহা যে যুগের গ্ৰন্থ তখন ব্ৰহ্মের একত্বের ধারণা ঋষিদিগের হৃদয়ে স্থান প্রাপ্ত হয় নাই -এই মত ভ্ৰমাত্মক বলিয়া আমরা মনে করি । ঋগ্বেদের সময়ে যে ঋষিগণ স্বতন্ত্র স্বতন্ত্র দেবতার উদ্দেশ্যে, কেবলমাত্র পুত্র-পশুস্বৰ্গাদি কামনা করতঃ, মহাড়ম্বরে পশু বধ করিয়া, ঘূত ঢালিয়া যজ্ঞ সম্পাদনা করিতেন এবং যজ্ঞীয় সোমরস পান করতঃ মত্ত হইয়া, ভীতি-বিহবল বা বিস্ময়-বিমূঢ়চিত্তে, সুৰ্য্য চন্দ্ৰ পাবনাদি ভৌতিক দেবতার উদ্দেশ্যে রাশি রাশি স্তুতি-গাথা রচনা করিয়া গিয়াছেন,- এবং ব্ৰহ্মের একত্বের ধারণা, ব্ৰহ্ম-সত্তার ভাবনা ও জ্ঞান-যজ্ঞের প্রতিষ্ঠা তখন আদৌ। তাহদের হৃদয়ে উদিত হয় নাই ;-এই সকল ধারণার মূলে বিন্দুমাত্ৰও সত্য নিহিত নাই, ইহাই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। দেবতা বর্গের সুক্ত গুলি যদি আমরা নিবিষ্টমনে, ভক্তিভাবে, আলোচনা করি, তবে দেখিতে পাইব-ঋগ্বেদের প্রথম হইতেই, কৰ্ম্ম, জ্ঞান ও উপাসনাকাণ্ড-এই তিন বিভাগই পরিগৃহীত হইয়াছে। তৎকালে, কেবল সকাম সাধকেরও অভাব ছিল না। যাহাদের জ্ঞান তাদৃশ উন্নত নহে, তাহারা ঐ ঐ সূক্ত দ্বারা অগ্নি, সোম প্রভৃতি বস্তুকেই দেবতা বলিয়া ডাকিতেন এবং তঁহাদের নিকট পুত্র-পশু-যশ