পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SA-fr|oo \s S-2Tfe S, R,4t সকল পদার্থকে গড়িয়া তুলিয়াছে * । এই দুই অংশকেই একত্ৰে “সত্য’ শব্দ দ্বারা নির্দেশ করা হইয়া থাকে । ইহারা অলীক, অসৎ, শূন্য বস্তু নহে। ইহারা সত্য বস্তু। কিন্তু সত্য হইলেও, পরম-সত্য ব্ৰহ্মবস্তুর তুলনায় ইহাদিগকে “অসত্য” বলা যাইতে পারে। কিন্তু মৃগ-তৃষ্ণা, শশ-বিষাণ প্রভৃতি অলীক বস্তুর তুলনায় ইহার “সতী” বস্তু। মৃগতৃষ্ণ প্ৰভৃতির ন্যায় ইহারা অলীক নহে। পরমার্থতঃ ইহারা সত্য নহে ; কিন্তু ব্যবহার্যতঃ ইহারা সত্য ! কিন্তু ইহারা শশ-বিষাণাদির ন্যায় অলাক নহে না । এই ভাবেই জগৎ “অসত্য’ ৷ ব্ৰহ্ম-সত্তাচিরনিত্য, স্বতঃসিদ্ধ, একরূপ । সুতরাং ব্ৰহ্মবস্তু পরম-সত্য। কিন্তু নাম রূপাত্মক বস্তুগুলি পরিণামিনিত্য, চির-পরিবর্তনশীল, urrge

  • পাঠকবর্গ লক্ষা করিবেন। শক্তির বিকাশের এই বিবরণ পড়িতে পড়িতে, আধুনিক বিজ্ঞান শাস্ত্ৰ পড়িতেছি বলিয়া ভ্ৰম জন্মে। 95 a T-R affe ( Force (, Motion (43& Matter grict Jes হইয়া ধীরে ধীরে জগৎ গড়াইয়া তুলে, তাহা কেমন চমৎকার বর্ণিত হইয়াছে।

+ পাঠক দেখিবেন, শঙ্করাচাৰ্য্য অলীক এবং অসত্যে ভেদ স্বীকার করিয়াছেন। জগতের উপাদান-শক্তি যে একেবারে শূন্য, অলীক নহে তাহ শঙ্কর জানিতেন। তিনি জগৎকেও উড়াইয়া দেন নাই, শক্তিকেও উড়াইয়া দেন নাই । এ সম্বন্ধে দ্বিতীয় খণ্ডের অবতরণিকায় বিস্তৃত আলোচনা করা হইয়াছে। ১২০ পৃষ্ঠা হইতে ১২৮ পৃষ্ঠা দ্রষ্টব্য ।