পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৫৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ܠ . ] ৬। মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিতরাজ পূজ্যপাদ শ্ৰীযুক্ত, যাদবেশ্বর তর্করত্ন মহােদয়ঃ— । “স্বৰ্গীয় শাস্বরত্ন মহাশয় ষড়দর্শনের সমন্বয় করিবার উদ্দেশে । সংস্কৃতে নিজে বহুসংখ্যক সুত্রের সৃষ্টি ও নিজে তাহার ভাষ্য রচনা | করিয়াছিলেন । তাহার অনেক অংশ তিনি আমাকে স্বয়ং শুনাইয়া- ? ছিলেন। আমি সে সময়ে তাহার অচিন্তনীয় তর্কশক্তিতে অভিভূত । হইয়াছিলাম । আজ তিনি জগতে নাই, ঠ্যাহার পুস্তকখানিও পৰ্য্যায়- ] ক্রমে লিপিবদ্ধ পাইতেছিনা । * * * তোমার “উপনিষদের । উপদেশ”, দ্বিতীয় খণ্ড, অনেকদিন পাইয়াছি। সম্প্রতি আমার একটু আর হইয়াছে ; সেই অবসরে তোমার পুস্তক খানি পড়িলাম। পড়িয়া, পরিতৃপ্ত হইয়াছি, নিরূতিশয় আনন্দ উপভোগ করিতেছি । যে প্রণালীতে শাস্ত্ররত্ন সমন্বয় করিয়াছিলেন, তুমিও সেই প্ৰণালী অবলম্বন । করিয়াছ { কোন কোন প্রামাণিক গ্ৰন্থকার ঋষি প্রণীত দার্শনিক সুত্রকে স্মৃতি বলিয়। অভিহিত করিয়াছেন । স্মৃতি হইলে কখনই মতভেদ থাকিতে পারে না। আপাততঃ শ্রবণ-দশায় মতভেদ বুঝিলেও, অর্থদশায় তাহার বিরোধের পরিহার করা। কৰ্ত্তব্য । স্মৃতিশাস্ত্রের এই নিয়ম। ষড়দর্শনের সমন্বয় হইলে দার্শনিক রঙ্গক্ষেত্রে যে পরস্পরী: পরস্পরের প্রতি জিগীষা-পরবশ হইয়া কোষোন্মুক্ত তরবারি-হস্তে ধাবিত, হয়, তাহাও ঘুচিয়া যায়। মোগল পাঠানের মত শক্রিতার বিনিময়ে, সখ্যের আদান-প্ৰদান হয় ; পরস্পর পরস্পরকে আলিঙ্গন করে। যিনি এই কাৰ্য্যের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম, অধ্যবসায়, বুদ্ধির প্রাখৰ্য্য ও শাস্ত্রের গভীর আলোচনা করেন, তিনি আমার মত প্রাচীন পণ্ডিতের সাধুবাদ ও আশীৰ্বাদ-ভাজন হুইবেন, সন্দেহ নাই। আমি প্রীত হইয়াছি, -