পাতা:উপনিষদের উপদেশ (তৃতীয় খণ্ড).pdf/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিকা । তখনই তঁহারা এই গৃঢ় অগ্নিকে লাভ করিলেন—জানিতে পারিলেন । 带 এই অমৃত অগ্নিকে স্তুতি দ্বারা সেবা করিলে, লোকে প্ৰকৃত দেবত্ব লাভ করিয়া থাকে । সোমরসে আসক্ত ইন্দ্ৰিয় দ্বারা, এবং বুদ্ধি, মন, ও ইন্দ্ৰিয় দ্বারা,-আমরা হে মিত্ৰাবারুণ ! তোমাদের প্রকাশময় স্বরূপকে দেখিতে ইচছা করি । হে অগ্নি । আমরা আত্মহৃদয় দ্বারা সুসংস্কৃত মন্ত্ররূপ হবিঃ দ্বারা তোমাকে পূৰ্ণ করিতেছি ; গ্ৰহণ কর । উভয় প্রকার নেতৃগণষ্ট অগ্নিকে আহবান করিয়া থাকে { -কেহ বা দ্রব্যাত্মিক-যজ্ঞলোগে, কেহ বা আত্মহৃদয়ে ধ্যান-যোগে অগ্নিকে আহবান করে । যে সকল লোক, এই স্কুল অগ্নির অবয়বের সহিত অখণ্ডনীয় অগ্নির সেবা করে ; তাহারা সমস্ত লোককে অতিক্ৰম করিয়া চলিয়া যায় ।” পাঠক দেখিতেছেন, এই সকল উদ্ধতাংশে, আত্মহৃদয়ে ধ্যান ও বুদ্ধিযোগে অগ্নির উপাসনা কথিত হইয়াছে। এই সকল উক্তি ‘ভাবনাত্মক-যজ্ঞ কেই লক্ষ্য করিতেছে। ( ঘা ) । দ্রব্যাত্মিক যজ্ঞকারীগণের চিত্তে ক্ৰমে যে দেবতাবর্গের স্বতন্ত্রতা-বোধ তিরোহিত হইয়া, সকল দেবতার মধ্যে কারণ-সত্তার অনুভূতি জন্মিতে থাকে, ইহাই কৰ্ম্মকাণ্ড হইতে জ্ঞানকাণ্ডে আরোহণ। একথা পূর্বেই বলা হইয়াছে। আমরা