পাতা:উপনিষৎ গ্রন্থাবলী - প্রথম ভাগ.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ృచిe - কঠোপনিষৎ ক্রুদ্ধ হইয়া পিত উচ্চালক বললেন—মৃত্যৰে (যমকে) বা (তোমাকে) দদামি ইতি ( প্রদান করিলাম ) ॥৩ ག(བྷེ་ উদালক বিশ্বজিৎযজ্ঞে ঋত্বিকৃগণকে জরাজীর্ণ গাভীসমূহ দক্ষিণা- o স্বরূপে প্রদান করায় যজ্ঞের অঙ্গহানি জনিত পিতার অনিষ্ট হইবে ভাবিয়া নচিকেতা আত্মদান পূর্বক পিতার সেই অনিষ্ট ফল নিবারণ করা পুত্রের কৰ্ত্তব্য ইহা মনে করিয়া পিতাকে বলিলেন “হে পিত:, আপনি আমাকে কোন ঋত্বিক্কে প্রদান করবেন?” এইরূপে দুইবার তিনবার পিতাকে জিজ্ঞাসা করায়, পিতা উদালক পুত্রের অভিপ্রায় না জানিয়া কুপিত হইয়া বলিলেন “তোমাকে যমকে প্রদান করিলাম” ॥৩ রহস্তবোধিনী—মানুষ যখন ঐশ্বৰ্য্য, যশ, পাণ্ডিত্য এবং ভোগসুখে তৃপ্ত হইতে ন পারিয়া উহাতে বীতস্পৃত হয়, তখন তাঙ্গর মনে অনুশোচনা হইতে থাকে, সে ভাবে এতদিন পর্য্যন্ত কামনার বশে যে সমুদয় বার্ষ্য - করিয়া আসিয়াছি তাহা বৃথাই হইয়াছে। কামনাপ্রস্তুত কোন কমই নিত্য আনন্দ ও শাশ্বতী শান্তি প্রদান করিতে পারে না। বারম্বার এইরূপ বিচার করিতে করিতে নিত্য এবং অনিত্য বস্তুর বিবেক তাহার চিত্তে উদিত হয়। বিবেকের উদয়ে সংসার ভোগবাসনা অভিভূত হইয়া পড়ে 4 এবং চিত্ত বৈরাগ্য প্রবণ হয়। সেই বৈরাগ্যপূত চিত্ত তখন মতাবস্তু সাক্ষাৎকারের জন্য ব্যাকুল হইয় উঠে। মানুষ তখন নিজেকে প্রশ্ন করিতে থাকে। তাহার বৈরাগ্যপূত, ভগবমুখী চিত্ত (পুত্র নচিকেতা) পূর্কের বিষয় ভোগাসক্ত রাজস তামস মনকে (পিতা উদালককে ) প্রশ্ন করে “এখন আমাকে কি করিতে হইবে ? কোন উপায়ে আমি শাশ্বতী শান্তি, নিত্য পরমানন্দ লাভ করিয়া কৃতকৃত্য হইতে পারি ?” বৈরাগ্যপূক্ত চিত্ত ভগবমুখী হইলে ; ভগবান নিজেই সাধক হৃদয়ে বিমল জ্ঞানদ্বীপ প্রজ্বলিত করিয়া দেন এবং সাধক চিত্তে তত্ত্বসম্বন্ধীয় প্রশ্ন উঠাইয়া নিজেই এ সেই প্রশ্নের সমাধান করিয়া দেন। বৈরাগ্যপ্রবণ, আত্মকাম সাধক