বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:উপেন্দ্রকিশোর রচনাসমগ্র.djvu/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চড়াই আর বাঘের কথা

গৃহস্থের ঘলের কোণে একটি হাঁড়ি ঝোলানো ছিল, তার ভিতরে চড়াই-চড়নী থাকত।

একদিন চড়াই বললে, ‘চড়নী, আমি পিঠে খাব।’

চড়নী বললে, ‘পিঠের জিনিসপত্র এনে দাও, পিঠে গড়ে দেব এখন।’

চড়াই বললে, ‘কি জিনিস লাগবে?’

চড়নী বললে, ‘ময়দা লাগবে, গুড় লাগবে, কলা লাগবে, দুধ লাগবে, কাঠ লাগবে।’

চড়াই বললে, ‘আচ্ছা আমি সব এনে দিচ্ছি।’ বলে সে বনের ভিতর গিয়ে গাছের সরু-সরু শুকনো ডাল মট-মট ভাঙতে লাগল।

সেই বনের ভিতর এক মস্ত বাঘ ছিল, সে চড়াইকে বলত, ‘বন্ধু’।

ডাল ভাঙার শব্দ শুনে সে বললে, ‘মট-মট করে ডাল ভাঙছ, ওকি আমার বন্ধু?’

চড়াই বললে, ‘হ্যাঁ, বন্ধু।’

বাঘ বললে, ‘ডাল দিয়ে কি হবে?’

চড়াই বললে, ‘কাঠ চাই, চড়নী পিঠে গড়বেন।’

শুনে বাঘ বললে, ‘বন্ধু, আমি কখখনো পিঠে খাইনি, আমাকে দিতে হবে।’

চড়াই বললে, ‘তবে জোগাড় সব এনে দাও।’

বাঘ বললে, ‘কি-কি জোগাড় চাই?’

চড়াই বললে, ‘ময়দা চাই, গুড় চাই, কলা চাই, দুধ চাই, ঘি চাই, হাঁড়ি চাই, কাঠ চাই।’

বাঘ বললে, ‘আচ্ছা তুমি ঘরে যাও, আমি সব এনে দিচ্ছি।’ চড়াই তখন ঘরে চলে এল, আর বাঘ দুলতে দুলতে বাজারে চলল। বাজারে গিয়ে বাঘ খালি একটিবার বললে, ‘হাল্লুম!’ অমনি