পাতা:উৎকর্ণ - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উৎকর্ণ কল্যাণীর কথা কিন্তু বড় মনে হচ্চে আজ সারাদিন । তার চোখে জল দেখে এসোচি ভোর বেলা । বারাকপুরে গ্রাম্যজীবন কিছুদিনের জন্যে যাপন করবার বড় ইচ্ছে- “ কত দিন যে এ ধরণের জীবন কাটাই নি-মাটির সঙ্গে যোগ থেকে - ** গ্ৰাম্য গৃহস্থ সেজে। আবার সেই শৈশবের জগৎটা আবিষ্কার করবো।-- এই মনে আকাঙ্ক্ষা । আমাদের বাড়ীর পেছনে বঁাশনে এই শরৎকালের দুপুরে গ{9^{14||7, ঘুঘুর ডাকে কি যেন মায়া মেশানো ছিল--বনভূমি যেন স্বপ্নমাপা, ১৯৩৭ সালের দোলের সময়েও আমি তেমনি স্বপ্নমাখা দেখেছি বনভূমিকে-মাত্র সাত বছর আগে। কিন্তু সহরের কলকোলাঙ্গলময় ব্যস্ত-সমস্ত জীবনযাত্রার মধ্যে যে স্মৃতি আমার মনে ক্ষীণ হয়ে আসচে, যে জীবনকে ভুলে ধাচ্চি, আবার সে জীবনকে আম্বাদ করবার জন্যে ব্যঞ্জ হয়ে পড়েচি-অস্থতঃ কিছুদিনের জন্যও আমায় তা করতে হবে। অন্য লোকে সে কথা কি বুঝবে ? কল্যাণী কাল ধ্বলছিল। আর বছরের মত--"আমার গা ছুয়ে বলে যান। আধা ঘণ্টার মধ্যে আসবেন ? 酸 তা এলুম না। ওর মনে দুঃখ হোল ! গা ডুযে বািল্ল তাই যদি না করা যায়, তধে মানুষ মরে যায় জানেন ? এ ও আপুনি করলেন ! লোকের জীবন মরণটাও দেখলেন না ? এই সন্ধায় সেকথা ভেটব মনে কষ্ট リー ওর কথাটা শুনলেই হোত ছাই। মিথ্যে ওর মনে কেন কষ্ট দেওয়া ? ওর তরুণ মনের স্নেহ ও আগ্রহকে বার বার করে ঠেলে গেলাম অবহেলায়-তবুও ও বোঝে নী, মনে কিছু জ্ঞান্সে না-আবার সেই ৰূকমই বলে । কাছের মসজিদে আজান দিচ্চে । ক’দিন খুব ভোরে বিছানায় গুয়ে డిసె