পাতা:উৎকলে শ্রীকৃষ্ণ-চৈতন্য.pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভুবনেশ্বর। ዓዪ» গুলির সম্মুখে একটি সোপান আছে; কিন্তু মন্দির গুলির সংস্কার নাই। সরোবরের চতুর্দিকের প্রস্তরময় সোপানের যেরূপ অবস্থা, মন্দিরসমূহের অবস্থা প্রায়ই সেইরূপ । মন্দিরগুলির জীৰ্ণোদ্ধার নিতান্ত আবশ্যক। সরোবরের গর্ভে ও পাশ্বে অনেকগুলি প্রস্রবণ আছে এবং তদ্বারা সর্বদাই জল প্রবাহিত হইতেছে ; কিন্তু জলের বর্ণ সবুজ। জলের বর্ণ যে রূপই হউক, বিন্দুসরোবর আমাদের পুণ্যতীর্থ। শিবপুরাণ, ব্ৰহ্মপুৱা-পদ্মপুরাণ ও একাম্রপুরাণে ইহার বিশেষ পুণ্যময়ত্ব দর্শিত আছে।

  • खात्वा विन्दुसरसौर्थे इद्दा तं कौर्त्तिवाससम्।

सर्बपापचयादन्ते ज्योतिलौंकमबापुष्यात ॥- पाझ । মানবগণ সেই বিন্দুসরোবরে স্নান করিয়া কৃত্তিবাস মহাদেবকে দর্শন করিলে সর্ব পাপবিমুক্ত হইয়া অন্তে মোক্ষধাম প্ৰাপ্ত হয়। । অনন্তবাসুদেব । বিন্দুসরোবরের অগ্নিকোণ শঙ্কর ব্যাপী নামে খ্যাত। বিন্দুসরোবরের পূর্বদিকে অনন্তবাসুদেবের মন্দির। প্রধান মন্দিরের গঠন ও শিল্পকাৰ্য্য দেখিয়া চমৎকৃত হইতে হয় । কতশত বৎসর অতীত হইয়াছে কিন্তু যেন ভাস্কর অল্পদিন হইল কাৰ্য্য শেষ করিয়াছে। মন্দিরাভ্যন্তরে বাসুদেব ও বলরামের কৃষ্ণ প্ৰস্তরময় মুক্তি ; সুভদ্ৰা দেবী উভয় ভ্রাতার মধ্যে বিরাজমান। মন্দির উৎকল প্রথায় নিৰ্ম্মিত। প্ৰধান মন্দিরের বাহিরে লক্ষ্মীর মন্দির, কিন্তু তাহা ভাঙ্গিয়া গিয়াছে। লক্ষ্মীর মূৰ্ত্তি এখন বাসুদেবের নিকটেই। নাট্য মন্দিরে স্তম্ভোপরি গরুড়-মূৰ্ত্তি। অনন্তবাসুদেবের মন্দির বহুকাল दिछभार्न আছে। বিন্দুসরোবরে স্নান ও পিতৃতর্পণ করিয়া প্ৰথমেই অনন্তবাসুদেব দর্শনীয়। বিন্দুসরোবরের পূর্ব কিনারায়ও কয়েকটী মন্দির ও দেবমূৰ্ত্তি আছে। তন্মধ্যে হনুমানজী ও ব্ৰহ্মার মূৰ্ত্তিই বিশেষ দ্রষ্টব্য।