পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুরের ভাষা সাঙ্কৰ্য্যের এক একটী অন্যতম কারণ ইহা উপরি উক্ত ইতিহাস হইতে পাঠকগণ অনায়াসে বুঝিতে পরিবেন । {} আবার সীমাসংলগ্ন জেলাগুলির অনেক ভাষাই মেদিনীপুরের ভাষাকে বিমিশ্র করিয়া এক বিলক্ষণ ভাষা খিচুড়ির সৃষ্টি করিয়াছে। অতএব মেদিনীপুরের ভাষা চিরস্থায়িনী বা স্বতন্ত্র প্ৰসিদ্ধ নহে। বাঁকুড়া ও বৰ্দ্ধমানের সংশ্লিষ্ট বলিয়া মেদিনীপুরের উত্তরাঞ্চলের ভাষা অপেক্ষাকৃত বঙ্গভাষার সমকক্ষ। তবে বঁকুড়ার সংস্পর্শ থাকায় ক্রিয়ার অঙ্কে স্থানে স্থানে ক’এর যোগ আছে। যেমন হবেক, দিবেক, খাবেক ইত্যাদি যাহা দুই একটা বিকৃত বঙ্গ শব্দ দেখিতে পাওয়া যায় তাহা তত ধৰ্ত্তব্য নহে । শব্দ সাহচৰ্য্য বা প্রাক্রমবশতঃ তাহার অর্থ বোধগম্য হইয়া থাকে । পূৰ্বাঞ্চলটি হুগলী ও হাবড়া সংশ্লিষ্ট বলিয়া তাহার ভাষা তত বিকৃত নহে-বঙ্গভাষা । দক্ষিণ পশ্চিমাংশ বালেশ্বর জেলার ংশ্লিষ্ট বলিয়া তাহার ভাষা বিকৃত উৎকল । উৎকলে যাহা সাধুভাষ বলিয়া পরিচিত ইহা তাঁহারই অপভ্রংশ। স্থূলতঃ ইহা এক প্রকার উৎকল ভাষা । উৎকল দেশবাসীদিগের অনায়াস বােধগম্য। মেদিনীপুরের পশ্চিমাঞ্চলটা জঙ্গলময়। ময়ুরভঞ্জ ও সিংহভূম সংশ্লিষ্ট বলিয়া ইহার ভাষা অতীব বিমিশ্র। ইহাতে কোল, ভীল, সাঁওতাল, ভূমিজ ও মাইতি ইত্যাদি কতিপয় জাতির ভাষা প্রবিষ্ট হইয়া এক অশ্রুতপূর্ব ভাষার সৃষ্টি করি স্বয়াছেঃ ইহার নাম এতদ্দেশে মাঝিয়া বা চাষী কথা ( ভাষা ) । e