পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

on অনেকের অবস্থাও প্ৰায় তদ্ৰৰূপ কি না চিন্তাশীল বিজ্ঞমণ্ডলা তাহা বিবেচনা করিবেন। এত করিয়াও অসূয়সম্প্রদায় যে সনাতন ধৰ্ম্মের অণুমাত্র অন্যথা করিতে পারে নাই, আজ কি না। এই সব সভার কয়েকটা নগণ্য সন্দেহে সেই সনাতন ধৰ্ম্ম বিকৃত হইবে । ইহা যে উপহাসের কথা । সনাতন ধৰ্ম্মটীকে বিপৰ্য্যস্ত করিবার উদ্দেশে ভারতে কত জায়গায় কত ডিপোর প্ৰতিষ্ঠা না হইয়াছে। কত সুচতুর পণ্ডিতগণ আড়কাটীর কায্যে নিযুক্ত হইয়াছেন, কত ধাঙ্গড়কে ভুলইয়া কুলি চালান দিতেছেন। কিন্তু সনাতন ধৰ্ম্মের সনাতনতা ও মৌলিকতা নষ্ট করিতে সমর্থ হইয়াছেন কি ? যে সনাতন, সে সনাতনই আছে ও থাকিবে, তদ্বিষয়ে সন্দেহ করা অজ্ঞতার পরিচায়ক। ভূমিকাটা বাড়িয়া গেল, শ্রোতৃবর্গের ধৈৰ্য্যচ্যুতির কারণ হইতে পারে। ক্ষমা করিবেন । এই প্ৰবন্ধে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেই অল্লাধিক আলোচনা হইবে । এই ধৰ্ম্মতত্ত্বের আলোচনা বহুস্থলে হইয়া থাকায় উপস্থিত প্ৰবন্ধটার “ধৰ্ম্মতত্ত্ব-পরিশিষ্ট” নাম দিয়া সভাগণের সম্মুখে পাঠার্থ দণ্ডায়মান হইয়াছি। প্রবন্ধের সারবত্ত। প্ৰদৰ্শন করিয়া যশোলাভে আমার আকাঙক্ষণ নাই । সভায় সন্দিগ্ধ ব্যক্তিবৃন্দের সন্দেহ ভঞ্জনাৰ্থ বদ্ধপরিকর হই নাই । ধৰ্ম্মশান্ত্রের আদেশ ও স্বীয় হিন্দুত্বকে স্মরণ করিয়া আমি আমার কৰ্ত্তব্য প্ৰতিপালনে বাধ্য হইয়াছি । মনু বলিয়াছেন “ধৰ্ম্মোবিদ্ধস্তুধৰ্ম্মোন সভাং যন্ত্রোপতিষ্ঠতে শল্যঞ্চাস্য ন কৃন্তন্তি বিদ্ধস্তন্ত্ৰ সভাসদঃ ।