পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ s > १ ] যে পেটে ধরিয়াছে, সে রাগে বলিল, সে কি ? আমিই ঠিক হাতী ধরিয়াছি, হাতীটা ত মস্ত একটা জালার মত । যে শুড়ে ধরিয়াছিল, সে তর্ক করিয়া বলিল হাতীটা বড় সাপের মত । যে মাথায় ধরিয়াছিল, সে বলিল, মৃৎকুম্ভের মত। যে লেজে ধরিয়াছিল, সে বলিল, ঝাড়দারের ঝাঁটার মত। শ্রোতৃবর্গ বিবেচনা করুন সকলে সেই এক হাতী ধরিয়াছে কি না ? এবং কল্পিত |াম গুলি বাদ দিয়া অন্ধগণ কর্তৃক ধৃত অংশ গুলির সমষ্টি হাতী কি না ? তাই বলিতেছিলাম ব্যষ্টি দৃষ্টিতে মত মতান্তর এবং ব্যষ্টি দৃষ্টির কলহেই ধৰ্ম্ম গুহান্বিত হইয়া “মহাজনো যেন গতঃ স পন্থাঃ” এই বাক্যকে অবসর দিয়া থাকে। অন্ধগণুের হস্তী স্বরূপ নিৰ্বাচন কলহে যেরূপ চক্ষুষ্মান ব্যক্তির অনাস্থা স্বাভাবিক, ব্যষ্টি ধৰ্ম্মের কলহে সনাতন ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসুর আচাঞ্চল্যও সেইরূপ স্বাভাবিক। মুনি ভিন্ন হইতে পারেন, মত ভিন্ন হইতে পারে, কিন্তু তাহদের লক্ষ্য ভিন্ন নহে* --এক । অত্যন্ত পরিতাপের সক্তিত বলিতে হইতেছে যে, আজকাল সেরূপ ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসু বা ধৰ্ম্মোপদেষ্টা অতি বিরল। শিক্ষিত সম্প্রদায় ধৰ্ম্ম-জিজ্ঞাসার প্রকৃত অধিকারী। অধুনা র্যাহারা শিক্ষিতাভিমানী, তাহারা বিলাস-পরিপুষ্ট এবং ব্যসন-অপভ্ৰষ্ট শরীরটীকে কষ্টসাধ্য শৌচসদাচারাদি সনাতন ধৰ্ম্মে নিয়োজিত করিতে সমর্থ হন না ; অধিকন্তু হিন্দুর ব্যষ্টি ধৰ্ম্মের প্রতি কটুকটাক্ষ করিতে বিলক্ষণ পাটব প্ৰদৰ্শন করেন। পরন্তু প্ৰকৃত ধৰ্ম্মজিজ্ঞাসুর ইহাতে বিচলিত হওয়া উচিত নয়। অন্ধগণের হস্তী ধরা ব্যাপারে