a go নানা ধন্মের ন্যায় সঙ্কুচিত স্বরূপ নহে। অন্যান্য ধৰ্ম্ম সমূহে কেবল ঈশ্বর সম্বন্ধীয় কিছু কিছু নিয়ম এবং সামাজিক অল্পাধিক কতকগুলি নিয়ম প্রতিপালনের কথা উল্লিখিত আছে, কিন্তু সনাতন ধৰ্ম্মের বিচারে ধৰ্ম্মাধিৰ্ম্মের অতিরিক্ত পদার্থ ইহসংসারে কিছুই নাই। সনাতন ধৰ্ম্মাবলম্বীরা সুমানে, ভোজনে, শয়নে, জাগরণে, উপবেশনে, উত্থানে, কথনে, শ্রবণে ইত্যাদি প্ৰত্যেক কৰ্ম্মে সনাতন ধম্মের বিরাট সরূপ পৰ্য্যবেক্ষণ করেন এবং অধৰ্ম্মের ভীষণ বিভাষিক প্রত্যক্ষ করেন । অধৰ্ম্ম প্ৰাকৃতিক নিয়ম নষ্ট করিয়া তাহদের উৎসাহ সাধনে প্ৰবৃত্ত হইয়াছে দেখিলে, তাহারা ধৰ্ম্মের সাহায্যে তাঙ্গা হইতে রক্ষ: পান। ধৰ্ম্মের বুৎপত্তিগত অর্থ -“নিয়ম।” ধাতুগত অর্থ—“ধারণ করে যে ” এই উভয় অর্থ হইতে তাৎপর্যাৰ্থ গ্রহণ করিলে স্থূলতঃ বলা যাইতে পারে যে, যে নিয়ম এই সৃষ্টি-ক্রিয়াকে ধারণ বা সংরক্ষণ করিয়া আছে, তাহাই ধৰ্ম্ম । এক্ষণে বিচার করিয়া দেখা উচিত কোন নিয়ম সৃষ্টি-ক্রিয়াকে সংরক্ষণ করিতেছে এবং সেই নিয়ম কোন অবস্থায় ধৰ্ম্ম বলিয়া অভিহিত হয় এবং কি অবস্থায় উপনীত হইলে অধৰ্ম্ম বলিয়া বিঘোষিত হইয়া থাকে ? ভগবান বলিয়াছেন,- “ময়াধ্যক্ষেণ প্রকৃতি: সূয়তে সচরাচরং।” প্ৰকৃতি জগৎকত্রী। সেই প্ৰকৃতি সত্ত্ব, রজঃ ও তম। এই ত্ৰিগুণময়ী বলিয়া সৃষ্টি-ক্রিয়াও ত্ৰিগুণাত্মিক। রজোগুণে উৎপত্তি, সত্ত্বগুণে স্থিতি ও তমোগুণে লয় হয়। f