পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

DI ] যেখানে কোন একটা সমষ্টি-শক্তি, ন্যায়, ধৰ্ম্ম ও সত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হইয়া নিয়ত শোভমান রহিয়াছে এবং তাঁহার অধীনে অসংখ্য ব্যষ্টি-শক্তি স্ব স্ব কৰ্ত্তব্য-পালনে নিয়োজিত আছে, সে স্থানটা শান্তির দুর্ভেদ্য শিবির ও মা কমলার মঞ্জু গুঞ্জনশীল শিলীমুখচুম্বিত কমল-বন । অধ্যাত্ম জগতের সম্রাট - বৈদান্তিক বলিবেন, বহির্জগৎ পরিত্যাগ করিয়া অন্তরের দিকে লক্ষ্য কর, দেখিতে পাইবে, শব্দ, স্পর্শ, রূপ, রস, গন্ধ— এই বিষয়গুলি যথাক্রমে শ্রোত্র, ত্বক, চক্ষু, জিহবা ও নাসিক এই পাঁচটা জ্ঞানেন্দ্ৰিয়ের দ্বারা গৃহীত হইয়া এবং বচন, আদান, গমন, বিসর্গ ও আনন্দ এই কাৰ্য্যগুলি যথাক্রমে বাক, পাণি, পাদ, পায়ু ও উপস্থ এই পাঁচটী কৰ্ম্মেন্দ্ৰিয়ের দ্বারা নিম্পন্ন হইয়া শরীরযাত্ৰা নির্বাহিত হইলেও ইহাদের মধ্যে একটিীও হৃৎপদ্মগোলোকস্থিত দশোন্দ্ৰিয়াধ্যক্ষ মনকে বাদ দিয়া কাৰ্যক্ষম হয় না । স্ব স্ব বিষয়-গ্ৰহণে ইহাদের শক্তি বিদ্যমান থাকিলেও সমষ্ট্রি-শক্তি সম্পন্ন অন্তঃকরণের তত্তৎকালীন সংযোগব্যতীত ইহারা স্বীয় শক্তির পরিচালনা করিতে অক্ষম। তাই ভগবান “নিরাণাঞ্চ নরাধিপং” যেমন বলিয়াছেন, তেমন ইন্দ্ৰিয়ানাং মনশ্চাস্মি’ একথাও বলিয়াছেন; ইহা কল্পিত সিদ্ধান্ত নহে। ব্যবহারতঃ চিন্তাকরুন যে, মন বলিয়া যদি একটা ইন্দ্ৰিয়ের মালিক না। থাকিত এবং চপল-স্বভাৰ ইন্দ্ৰিয়গণ যদি স্ব স্ব ইচ্ছায় সব সময় স্বীয়-শক্তি পরিচালনায় ব্যগ্ৰ হইত, তখন কাণ দেখিতে, চক্ষু শুনিতে, নাক রাস্ত্ৰগ্ৰহণ করিতে ব্যস্ত হইয়া পড়িলে, যথেচ্ছাচারের