পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ১৪ } সেই বিরাট রাজভক্তির কায্যকারিতাকেই সমর্থন করিয়া থাকে। বুঝিতে পারেন। বেশী দূর যাইতে হইবে না, আজকার ঐ সভায় যদি কেহ অন্তরে কমনস সভাকে সর্বে সবাবা ভাবিয়া সম্রাটের প্রতি ফক্ষ্মভক্তি প্রদর্শন করিতে উদ্ভত হইয়া থাকেন, তাহা হইলে তঁহাকেই বলিতে পারি যে, তিনি কি ইচ্ছায় কি অনিচ্ছায়, কি আস্থায় -কি অনাস্থায় --- বলুন দেখি। --- জয় কমনস সভার জয় ! জয় সভাপতি মহাশয়ের জয় ! ! ! আমার মনে হয়। তিনি তাহা কখনই বলিতে পরিবেন। না । অবশ্য “তঁহাকে বাধা হইয়! বলিতেই ভক্টবে।-- জয় সমাট পঞ্চম জর্জের জয় ! ইহ; যে ঈশ-সৃষ্ট পদ্ধতি, ঈশানুমোদিত চিরাচরিত ব্যবস্থা ; আজ গায়ের জোরে তাহার অন্যথা ভাব হইবে কি করিয়া ? হইতেই পারে না ! * অনেকে হয়ত বলিবেন যে, রাম যুধিষ্ঠির দুষ্মন্ত, দিলীপ, প্রভৃতি সম্রাটুগণের নামানুকীৰ্ত্তনে হৃদয় স্বতঃই ভক্তি-প্রবণ হয় ; পরন্তু তদিতির ব্যক্তিতে সেরূপ ভক্তির উদ্রেক-হয় না ; কিন্তু ইহা বলিবার আগে তাহারা তাহদের অন্তঃকরণকে জিজ্ঞাসা করুন, কেন ? বোধ হয় উত্তর পাইবেন যে পাধের তারতম্য লইয়া ভক্তিরও তারতম্য ঘটিয়াছে ; কিন্তু আমরা বলিব, উৰ্তাহারা যদি আর্ন্য সন্তান হন, ইহ, তাহদের শ্লাঘার বিষয় নহে, অজ্ঞতার পরিচয় মাত্র। আমাদিগকে প্ৰথমে দেখিতে হইবে যে আমাদের ভক্তির পাত্র কে ? সামুটি-না, সম্রাটের