পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २१ ] হইয়াছে, এতাদৃশ কয়েকজনই আমাদের দৃষ্টি পথের পথিক হইয়া আমাদিগকে যুগপৎ ভীত, ব্যথিত ও বিস্মিত করিয়াছেন। অহো অপরিমিত অনিয়ত বিলাসের কি ভয়ঙ্কর পরিণাম ! পাপ বাসন বাসনার কি অনিৰ্বাচনায় বশীকরণ শক্তি । লঙ্কেশ্বর সর্বস্ব হারাইয়া যাচকবেশে পরের দ্বারস্থ ; তথাপি ভঁহার জ্ঞান-চক্ষু উল্মীলিত হয় নাই, তখনও তিনি বুদ্ধি থাকিতে জড়, চক্ষু থাকিতে অন্ধ হইয়া রহিয়াছেন, হরি ; হরি ; তাদৃশ অবস্থাতেও ভিক্ষালব্ধ ধনে তিনি চিরসহচরী সুরাদেবী ও বারনারীর অৰ্চনায় নিরন্ত । এই পাপবাসনপরম্পরা কেবল এক পুরুষেই যে স্বীয় আধিপত্য বিস্তার করিয়া বিরত হয়, তাহা নহে। ব্যসনীর পুত্ৰপ্রৌত্ৰাদিতেও বিষময় ফল প্রসব করিতে থাকে। নিরাপত্যতা, নির্বিন্নতা, চিররোগিতা প্ৰভৃতি বিবিধ বিপত্তিই এই বিলাসিত বা বাসনের পরম্পরাগত বিষময় ফল । অনিয়ত বেলায় অনুপযুক্ত মাত্রায় সুরাপান, দুষিত মাংস ভক্ষণ এবং সপ্তধাতুর সার স্বরূপ শুক্র ধাতুর অপরিমিতরূপে অকালে ক্ষয়, বহু রোগের নিদান। চরক, সুশ্রুত, বাগভট, শাঙ্গাধর প্রভৃতি প্ৰাচীন আৰ্য্যচিকিৎসকগণ ও ইয়োরোপীয় খ্যাতনামা কাপেণ্টার, ক্লার্ক, লেমাটি, রবার্টসন প্রভৃতি ভুয়োদশী ডাক্তারগণ স্ব স্ব বিশ্ববিশ্রুত গ্রন্থাবলীতে স্পষ্টাক্ষরে এইগুলির মহীয়সী অপকারিত বিবৃত করিয়াছেন। তঁহারা বলেন, অযথাভাবে মদ্য মাংস নিষেবিত হইলে