পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ७» ] এই পুত্রপৌত্ৰগণ যখন যৌবনের সীমায় পদার্পণ করিল, তখন বয়োধৰ্ম্মবশতঃ কথঞ্চিৎ প্ৰবৃদ্ধিবীৰ্য্য হইলেও আদর্শস্থানীয় পিতৃপিতামহের গুণানুচিন্তন করিয়া সেই নজিরে সেই সব ব্যসনের দাসত্ব স্বীকার করিল । একে চিররোগী, হীনবীৰ্য্য, তাহার উপর বিষময় ব্যসনের পূর্ণমাত্র ; জীর্ণ তরণী জলধির উত্তাল তরঙ্গে কয়দিন আর অস্তিত্ব লাভ করে ? ক্ৰমান্বযে তাহারা বিলাসীর বিলাসময় অঙ্কের বিনিময়ে কালের কণ্টকময় ক্ৰোড়ে শায়িত হইল। ব্যসনী পিতৃ-পিতামতের সমারব্ধ ব্যসননাটকের এইখানেই যবনিকা পাত হইল। চিরদিনের জন্য চিরন্তন বংশটী লোপ পাইল । যিনি যাহাই বলুন, অব্যবর্তিত পূৰ্ববৰ্ত্তী বলিয়। পূর্বোক্ত কারণচতুষ্টয়কে আপাততঃ অব্যভিচারিরূপে অভিহিতকরা অসঙ্গত নহে । যাউক তাহার পুনরুদঘাটন নিম্প্রয়োজন। উপসংহারে ব্যক্তিব্য, হে ব্যাসনবশীভূত ! ঋণাত্ ! আধি ব্যাধিপ্ৰপীড়িত ! ভূস্বামিবৃন্দ ; অধিক আর কি বলিব, প্ৰবন্ধের প্রথমে যে কয় শ্রেণী ভূস্বামীর মৰ্ম্মস্পর্শী চিত্র অঙ্কিত হইয়াছে, তাহা যদি সত্য বলিয়। বিশ্বাস করেন এবং পূর্বোক্ত দুলক্ষণ লক্ষিত ভুরি ভুরি ভুস্বামীর শোচনীয় ভয়ঙ্কর পরিণাম দেখিয়া ও শুনিয়া যদি আপনাদের অন্তরে অধুনা অণুমাত্র প্রতিচিকীৰ্ষার ছায়া প্ৰতিবিম্বিত হইয়া থাকে, তাহা হইলে আর ভবিতব্যতার দোহাই দিয়া নিদ্রিত থাকিবেন না । সৎশিক্ষার সুব্যবস্থা করুন, চাটুকরের চাটুত্ত্বিরূপ কালকূট হইতে চিত্তকে রক্ষা করুন, ভণ্ড