৬৩ ] শক্ৰতা করিতেছে। এইখানে মহাকবি কালিদাসের একটা কবিতা মনে আইসে, কবিকুল-তিলক বলিয়াছেন।-- জ্ঞানে মৌনং ক্ষমা শক্তৌ, ত্যাগে শ্লাঘা বিপৰ্যায়ঃ গুণ গুণানু বন্ধিত্বাৎ তস্য সপ্রসবা ইব । জ্ঞান ও মৌন, ক্ষমা ও শক্তি এবং ত্যাগ ও শ্লাঘাভাব এই কয়েকটি পরস্পর বিরুদ্ধগুণ । গুণের অনুরোধে দীলিপি মহারাজার নিকট সাপ্রসব অর্থাৎ ভ্রাতৃভাবে বিরাজিত ছিল। দৌর্ভাগ্যের অনুরোধে আমাদের ভারতেও বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বিনীঈতি সন্ততি, সহোদরার ন্যায় একত্ৰ সমাবিষ্ট । ইহা সপ্ৰমাণ করিবার জন্য বহু দিনের ঘটনাবলী উদঘাটিত করিতে হইবে না। বৰ্ত্তমান বৎসরই তাহার সাক্ষ্য দিবে। গত আষাঢ়ে যখন হৈ মন্তিক ধান্যোৎপাদনের প্রধান সময় এবং পকোম্মুখ আশু ধান্যের প্রচুর জলাপেক্ষা সেই সময়েই দেবী অনাবৃষ্টির আগমনে তৎসমস্তই ভস্মীভূত হইয়া গেল। আশু ধান্য ত একেবারেই গেল, যথাকথঞ্চি শুরূপে জীবিত থাকিয়া হৈ মন্তিক ধান্য যদিও শ্রাবণের বারিধারায় পুনঃ কৃষি জীবীর আশার সহিত পল্লবিত হইয়াছিল, দেবী অতিবৃষ্টি এই আশ্বিনের ভীষণ জল প্লাবনে তাহা একেবারে কবলিত করিলেন । এক বৎসরেই ভগিনীদ্বয়ের উপদ্রব ভারতের কিরূপ সর্বনাশ করিল দেখিয়া লউন । এইত গেল অতি বৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির কথা । ৩য় মূষিক, প্রতিক্ষেত্রে প্রতিবাসে প্রতিদিন যে ঈতিত্বের পরাকাষ্ঠা দেখাইতেছে তাহা লিখাই বাহুল্য। ৪র্থ শলাভের বৃত্তান্ত উপসংহারে