পাতা:উৎস - কৃষ্ণচন্দ্র রায়.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৬৫ ] নূতন। ইহারা অজার, অমর, অক্ষয় ও অব্যয়। ইহাদের অত্যাচার অসীম । ১৩০৩ সালে প্ৰথমে চাইবাসা জেলার অধিকাংশ স্থানে আবির্ভূত হয়, তৎপরে ক্রমশঃ ব্যাপ্ত হইয়া পড়ে। আমরা পূর্বে জানিতাম এ জীব বড়জোর উভচর হইতে পারে; কিন্তু এ সর্বনেশে শলাভ ত্রিচার। ইহারা স্বচ্ছন্দে আকাশে যেরূপ উৎপতিত হইতে পারে তদ্রুপ ভূমিতেও ইহাদের অব্যাহত গতি, অধিকন্তু ইহারা জলমগ্ন হইয়াও আত্মরক্ষা করিতে বিলক্ষণ পটু। প্ৰথম আষাঢ়েই ইহাদের অসংখ্যা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছানা দেখিতে পাওয়া যায়। ধান্তের বৃদ্ধির সহিত ক্ৰমশঃ ইহারাও পরিবদ্ধিত হয়। ধান্য প্রসবোম্মুখ হইবার সময়ে দেখা যায় উহাদের মুখ তীক্ষা করাত সদৃশ হইয়াছে। তন্দ্বারা ধান্যের থোড় কাটিয়া কৃষিজীবিগণের বহু আয়াস সাধ্য প্ৰাণসম শস্যের সর্বনাশ সাধন করে। ধান্য কৰ্ত্তন সময়ে উহারা উপৰ্য্যুপরি সংযোজিত হইয়া উডডীয়ন শক্তি রহিত হয়। অনেকেই বলেন ইহাই তাঁহাদের ঋতুকাল। এই মার্গশীর্ষ মাস হইতে আরম্ভ করিয়া আষাঢ় মাসের মধ্যেই কোন এক সময় আলির গৰ্ত্তে ও ফাটালেব মধ্যে মধ্যে সর্ষপ হইতেও ক্ষুদ্রতর বহু সংখ্যক ডিম্ব প্রসব করে। অনেকেই বলেন, না হইলে ও এক একটা শলাভ দু। তিন সহস্ৰ ডিম্ব প্রসব করিয়া থাকে। এই ডিম্ব চণ্ড রশ্মির প্রচণ্ড রশ্মিতে ভস্মীভূত হয়না, অথবা ভীষণ জলপ্লাবনে নষ্ট হইবার নহে। পুনরায় ধান্য বপনের পর যেই ধান্যান্ধুর দেখিতে পাওয়া যায় অমনি অসংখ্য শলভ-শিশুও আবিভূতি